কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া :
ছয় মাস আগে স্থানীয় সাংসদ আব্দুর রহমান বদি উখিয়া সদরের থানা সংলগ্ন হাজির পাড়া সড়কের কার্পেটিং এর কাজের শুভ উদ্ভোধনকালে বলেছিলেন, উন্নয়নে বদলে গেছে দেশ। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের নিশান উড়িয়েই শেষ বছরে পদার্পন করছে সরকার। এই সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তিনি নৌকা প্রতিকের নিজের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চাইলেন। তখন উপস্থিত সকলেই স্বতস্ফূর্থ সমর্থন জানিয়েছেন। ছয় মাস পার হয়ে গেল। রাস্তায় থাকা ইটগুলো ঠিকাদার তুলে নিয়ে গেছেন। এখন ঠিকাদারের দেখা নেই। ফলে বৃষ্টিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে ৫০০০ হাজার মানুষ,এ সড়কটি কাদায় পরিনত হওয়ার কারণে স্কুল কলেজের অনেক ছাত্র/ছাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে। পাশাপাশি উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতিসহ চারজন জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক। এরা সবাই সড়কের অচলাবস্থা তুলে ধরে বহুবার রিপোর্ট করেছেন।কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকাবাসি এটাকে ঠিকাদার ও প্রশাসনকে দায়ি করে বলেন, এমপি বদির সদিচ্ছাই এই সড়কটি বহু বছর পর সংস্কার হচ্ছে। এতে বাধা হয়ে দাড়িঁয়েছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর। স্থানীয়রা এমপি আব্দুর রহমান বদির কাছে তুলে ধরার জন্যে সাংবাদিকদের বারবার অনুরোধ করেছেন। উখিয়া থানার পুকুর সংলগ্ন দৌঁছড়ি লাইনের টমটমের লাইনম্যান ছৈয়দ আলমের নেতৃত্বে ২৭ হাজার টাকার বালি দিয়ে রাস্তায় চলাচলের উপযোগী করছেন। এই টাকা টমটম চালক ও শ্রমিকেরা দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। কাজি পাড়া এলাকার সৈয়দুজ্জামান বলেন, গত শুক্রবার আমার বড় বোনের বিয়ের দিনে বরযাত্রী গাড়ি নিয়ে আসতে পারেনি। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে? এই সড়ক দিয়ে কনে বিদায়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেয়াও দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যাপারে ঠিকাদারের কাজে নিয়োজিত মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দু-একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।