অনলাইন ডেস্ক : কখনও গ্যালারিতে তিনি নেচে উঠেছেন, কখনও ঢুকে পড়েছেন দেশের ফুটবলারদের ড্রেসিংরুমে। আবার জয়োল্লাসে ফুটবলারদের সঙ্গে উদ্দাম নাচে মেতে উঠতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার- কিতারোভিচ। মাঠের মদ্রিচ, এমবাপেরা যতটা জনপ্রিয়, গ্যালারির কোলিন্দা গ্রাবার তাদেরর চেয়ে কিছু কম যান না। কারণ তাঁর ফুটবলপ্রীতি। কারণ ফুটবলারদের সুখ-দুঃখে একাত্ম হয়ে যাওয়া। কারণ প্রেসিডেন্টের ইউনিফর্ম ছেড়ে শিশুর মতো উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার প্রবণতা।
রোববারের মহারণেও গ্যালারিতে ছিল ক্রোয়েট প্রেসিডেন্টের উজ্জ্বল উপস্থিতি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বামী জ্যাকব কিতারোবিচ।প্রখমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠা ক্রোয়েশিয়ার লড়াকু ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে বার বার হাত তালি দিয়ে উঠতে দেখা গেছে কোলিন্দা গ্রাবারকে। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়নি। মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে রোববার রাতে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয় ফ্রান্স। ক্রোয়েশিয়াকে রানার্স আপ ট্রফি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তবে এটিই ফুটবলে ক্রোয়েটদের সর্বোচ্চ সাফল্য।
স্বপ্নভাঙালেও ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার- কিতারোভিচ মন ভাঙেননি। খেলা শেষে হাসিমুখেই তাকে ম্যাচ শেষে পুরস্কার প্রদান মঞ্চে হাজির হতে দেখা যায়। এসময় প্রেসিডেন্ট কোলিন্দার আন্তকিরকতা সবাইকে মুগ্ধ। দেখা যায়, একেকজন খেলোয়াড় পুরস্কার নিতে আসছেন আর ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট তাকে জড়িয়ে ধরছেন । এ দৃশ্য দেখে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোও তা অনুসরণ করেন। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দুই প্রেসিডেন্ট যেভাবে জড়িয়ে ধরেছেন তা যেন এ বিশ্বকাপের সেরা উপহার!
বিশেষ করে গোল্ডেন বল জেতা ক্রোয়েশিয়ান মদ্রিচকে যেভাবে তাদের প্রেসিডেন্ট কিতারোভিচ অনেক্ষণ জড়িয়ে ধরলেন তা অনেকদিন মনে রাখবে বিশ্ববাসী। নিজ দেশের ফুটবলারদের বুকে টেনে নিয়ে তিনি স্বান্তনা দিয়েছেন, আগামীবার তোমরা নিশ্চয়ই পারবে। সাবধান, কেউ মন ভেঙো না।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।