ছৈয়দ আলম:
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনের ৩৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩টি ভোট কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকি ৩৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে স্বচ্ছ ব্যালট পেপারে। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটাররা ভোট প্রদান করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে কিনা তা জানতেই পরীক্ষামূলকভাবে মূলত তিনটি কেন্দে এ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনের ১২টি ওয়ার্ডে মোট ভোট কেন্দ্র ৩৯টি। এর মধ্যে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র ৩টি। এ ৩টি কেন্দ্রের মোট ১৫টি বুথে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্র গুলো হল-ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা, প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পিটিআই প্রশিক্ষণ শাখা। এ তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৫৯০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ হাজার ৫২১ জন। পুরুষ ভোটার ৩ হাজার ৬৯ জন।
কক্সবাজার পৌর নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল শর্মা জানান, নির্বাচন কমিশন একটি ওয়ার্ডেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসলে এ পদ্ধতিতে ভোট প্রদানে ভোটাররা কতটুকু স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তা পরীক্ষা করার জন্যই এ সিদ্ধান্ত। কক্সবাজারে এই প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ১৫-২৩ জুলাই পর্যন্ত ২৭ জনের একটি প্রশিক্ষন টিম ভোটিং শিক্ষা প্রদান করবেন।
ভোট গ্রহণ পরিচালনাকারীদের ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
প্রতিদিন বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত নির্ধারিত ওয়ার্ডের ৩টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে সাধারণ ভোটারদের জনসমাগম স্থানে উদ্ধুব্দ করে ভোট প্রদানের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে স্মাটকার্ড থাকলে ভোট ত্বরান্তিত হয়।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাহারছড়া এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই নতুন পদ্ধতিতে ভোট দিতে আগ্রহী। আবার কেউ কেউ এ পদ্ধতিতে ভোট সঠিক জয়গায় পড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। এতে কারচুপি হওয়ার আশংকা তাদের। যেহেতু প্রথম ইভিএম ভোট দেবে। নাজিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ইভিএম জিনিসটা কী, কেমন, কিভাবে ভোট দিতে হবে জানি না। এ পদ্ধতিতে ভোট প্রদানে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে জেনে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ দিলে তো ভালোই হবে।
জোসনা নামে এক নারী ভোটার বললেন, শুনেছি প্রথম কক্সবাজারে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেবে। এখন নিজে ভোট দিতে গিয়েই জানতে পারব ইভিএম সম্পর্কে।
নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল শর্মা আরো বলেছেন, কিভাবে ভোট প্রদান করবে তা শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে এ পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে তাদের ভোটটি সঠিক জায়গায় পড়ছে কিনা তা দেখানোর জন্যই ভোটারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য-স্মাটকার্ড নিয়ে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার সুবিধার্তে ১৪ জুলাই শনিবার সকাল ১০ টা থেকে শুধু ১১নং ওয়ার্ডের বাদ পড়াদের স্মার্টকার্ড প্রদান করবে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।