হেলাল উদ্দিন , টেকনাফ :
টেকনাফে পাহাড়ী ছড়া থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের ভাইসহ দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার মৃত মোঃ কাসেমের ছেলে শামশুল হুদা (৩২) ও লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের ২৫৪ নং রুমের বাসিন্দা রশিদ আহাম্মদের ছেলে রহিম উল্লাহর (২২) বলে জানা যায়।
১৩ জুলাই শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে রোহিঙ্গা শিশুরা হ্নীলা লেদা রোহিঙ্গা ক্যা¤েপর পশ্চিম পাশে ছড়ায় দুটি লাশ দেখতে পায়। এই সংবাদে রোহিঙ্গা নেতারা টেকনাফ মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। এই খবরে থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতিক উল্লাহ ও (অপারেশন) রাজু আহাম্মদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের ছড়া থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করা হয়। লাশ দুইটি উদ্ধারের পর সুরুতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরন করা হবে।
এদিকে বিকাল ৩ টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, উখিয়া (সার্কেল) চাউলাও মারমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন খোঁজ খবর নেয়।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে দুইটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই ঘটনাটি ইয়াবা সংক্রান্ত বা প্রতিপক্ষের বিরোধের জের ধরে ঘটতে পারে। তবে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনে পুলিশ কাজ করছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শীঘ্রই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। নিহত শামসুল হুদার বিরুদ্ধে থানায় মাদক, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এদিকে,উদ্ধার শামসুল হুদার লাশটি হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হুদার ছোট ভাই। তাকে গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া অপর উদ্ধার বস্তাবন্দী লাশটি রোহিঙ্গা যুবক রহিম উল্লাহ বলে সনাক্ত করেছে স্থানীয় রোহিঙ্গারা।