জাগোনিউজ : বিশ্বকাপে খেলার পথে একটি মাত্র বাধা ছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সামনে। সেই বাধাটির নাম স্কটল্যান্ড। সেমিফাইনালে স্কটিশদের হারাতে পারলেই আগামী নভেম্বরে বিশ্ব নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে নারী ক্রিকেটাররা।
নেদারল্যান্ডসের আমস্টালভিনে ভিআরএ গ্রাউন্ডে সেই বাধাটিও দূর হয়ে গেল সালমাদের সামনে থেকে থেক। নারী বোলারদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে স্কটল্যান্ডকে ৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার সঙ্গে বিশ্বকাপের টিকিটও নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের।
মজার বিষয় হলো, আজ থেকে ২১ বছর আগে, ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে মালয়েলিয়ার কুয়ালালামপুরে স্কটল্যান্ডকে হারিয়েই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দল। ২১ বছর পর সেই স্কটল্যান্ডকে হারিয়েই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
বিশ্ব নারী টি-টোয়েন্টি বাছাইপর্বে এখন চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরার সামনে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ১৪ জুলাই ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আট দলের বাছাই পর্ব থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসতে পারাটা হবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের জন্য এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় অর্জন। কিছুদিন আগে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের সাফল্যের পথ ধরে এবার আট জাতি টুর্নামেন্টেরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বাংলাদেশ।
গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বিশ্ব টি-টোয়েন্টির টিকিট। গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচে জিতেই হয়েছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। উদ্বোধনী দিনে পাপুয়া নিউগিনিকে ৮ উইকেট ও পরের দিন স্বাগতিক নেদারল্যান্ডসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ফাহিমা খাতুনের হ্যাটট্রিকে আরব আমিরাতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় স্কটল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৩৬ বলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩১ রান করেন নিগার সুলতানা। ১৬ বলে ২২ রান করেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। ২৭ বলে ২০ রান করেন আয়েশা রহমান। ১৮ বলে ১৯ রান করেন সানজিদা ইসলাম এবং ১৬ বলে ১৫ রান করেন ফাহিমা খাতুন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্কটল্যান্ড ওপেনার সারাহ ব্রুইস ৩১ রান করেন। ২২ বলে ২১ রান করেন অধিনায়ক কেথেরিন ব্রুইস। এছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানরা আর দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের বোলারদের সামনে। ২ উইকেট করে নেন নাহিদা আক্তার এবং রুমানা আহমেদ। ১ উইকেট করে নেন সালমা খাতুন এবং ফাহিমা খাতুন। একজন হলেন রানআউট।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।