নিজস্ব প্রতিবেদক:
রামুতে নিজের গর্ভধারিণী বৃদ্ধ মা এবং ভাইকে অপহরণ করে গোপন স্থানে আটকে রেখে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে শোয়াইব নামে এক ব্যক্তি। সে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী কাঠালিয়ামোরা এলাকায় বদিউর রহমানের পুত্র। বর্তমানে রামুর চাকমারকুল কলঘর মিয়াজির পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছেন। শ্যালক নজিবুল করিমের নেতৃত্বে নিজের মা ও ভাইকে অপহরণ করেছেন শোয়াইব নামে ওই ব্যক্তি।

অপহৃতরা হলেন- পিএমখালী কাঠালিয়ামোরা এলাকায় বদিউর রহমানের স্ত্রী নূরুন্নাহার (৭০) ও পুত্র জিয়াউর রহমান (৪০)। বুধবার জিয়াউর রহমানকে আটকে রেখে পরে গতকাল বৃহস্পতিবার ফুঁসলিয়ে মাকেও নিয়ে গিয়ে দু’জনকে অপহরণ করে গোপন আস্তানায় আটকে রেখেছে বলে বৃদ্ধ বদিউর রহমান অভিযোগ করেছেন।

বদিউর রহমান বলেন, তার বড় পুত্র তাদের সাথে বনিবনা না হওয়ায় রামুর চাকমারকুল কলঘর মিয়াজির পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করছেন। কিন্তু সে বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে মোটা টাকা ও সম্পত্তি লিখে দিতে দাবি করে। না দেয়ায় একবার আমাকে আটকে রেখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে জমি লিখে নেয়। তারপরও থামেনি শোয়াইব। এরপরও বিভিন্ন সময় সম্পত্তি ও টাকা দাবি করে আসছে। না দেয়ায় হত্যাসহ নানা হুমকি দিয়ে আসছিল। গত বুধবার ব্যক্তিগত কাজে রামু গেলে সেখানে শ্যালক নজিবুল করিমসহ শোয়াইব আমার মেঝ পুত্র জিয়াউর রহমানকে আটকে রাখে। পরে এক লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের খবর দেয়।

বদিউর রহমান আরো বলেন, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার আমি আর স্ত্রী শোয়াইবের শ্বশুর বাড়ি গেলে আমাদের আটক করে ফেলে। এক পর্যায়ে এক লাখ টাকা দাবি করে টাকা জোগাড় করে আনার জন্য আমাকে ছেড়ে দিয়ে মা ও ভাইকে আটককে রাখে। বিকাল পর্যন্ত টাকা না দেয়ায় মা ও ভাইকে শ্বশুরবাড়ির আটক অবস্থা থেকে গোপন স্থানে নিয়ে গেছে। সেখান থেকে বার বার মোবাইলে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলছে। টাকা না দিলে জিয়াউর রহমান রহমানকে খুন করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে এই চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনায় রামু চাকমারকুলে তোলপাড় চলছে। স্থানীয় লোকজন এই ঘটনার তিরস্কার ও বৃদ্ধ মাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দিলেও তা পরোয়া করছে না শোয়াইব। বরং সে আরো বেপরোয়া হয়ে ভাই জিয়াউর রহমানকে মারধর করছে বলে জানা গেছে। এতে স্থানীয়রা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বৃদ্ধ পিতা বদিউর রহমান জানান, তার কাছে টাকা না থাকায় শোয়াইবের দাবিকৃত মুক্তিপণ দিয়ে বৃদ্ধ স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করতে পারছেন না। এই জন্য তিনি পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।