সিবিএন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে টাকা চুরির অভিযোগে রিয়াদ (১২) নামের শিশুকে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। বেপরোয়া মারধরে ওই শিশুর সারা শরীর থেথলে দিয়েছে পাষাণ দোকান মালিক।
ভিকটিম শিশুটির বাড়ি কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও চান্দেরঘোনা এলাকায়।
বুধবার (১১ জুলাই) সকালে সুগন্ধা পয়েন্টের মনসুর সওদাগরের চায়ের দোকানে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়দের খবরের ভিক্তিতে ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিম শিশুকে উদ্ধার করে করেছে পিবিআই এর এক কর্মকর্তা। পরে তাকে সদর মডেল থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দোকান মালিক পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে প্রশাসন।
ভিকটিম শিশু রিয়াদের কাছে নির্যাতনের কারণ জানতে চাইলে বলে, ‘মাসে ২ হাজার টাকা বেতনে ১ বছর ধরে আমি দোকানে চাকুরী করছি। গত ৯ মাস ধরে আমার বেতন বাকি। ১ হাজার টাকা মালিকের কাছে জমা রাখা হয়েছে।’

ভিকটিম শিশু রিয়াদ ও উদ্ধারকারী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর এএসআই জহিরুল ইসলাম।

সে আরো বলেছে, ‘এক সপ্তাহ আগে আমি চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে অন্যখানে নতুন চাকুরী নিয়েছি। এরই মধ্যে বুধবার সকালে দোকান মালিক আমাকে ডেকে নিয়ে রশি দিয়ে বাঁধে। এরপর ‘টাকা চুরি করে পালিয়েছি’ অভিযোগে এনে আমাকে ব্যাপক মারধর করে।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর এএসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, সুগন্ধা পয়েন্টে একটি দোকানে একটি শিশুকে বেঁধে পেটানো হচ্ছে অভিযোগে ঘটনাস্থলে যাই। শিশুটিকে উদ্ধার করি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, এভাবে একটি শিশুকে নির্যাতন খুবই দুঃখজনক। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।