বার্তা পরিবেশক:
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘পরিকল্পিত পরিবার সুরক্ষিত মানবাধিকার’। এ দিবস উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। উক্ত র্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু করে শহীদ সরণী হয়ে পূনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। হোপ ফাউন্ডেশন এই দিবসটি সফল করার জন্য জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালিতে স্বতঃস্ফূূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
১৯৮৯ সালে ইউএনডিপি ‘১১-ই জুলাই’ দিনটিকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসাবে পালনের জন্য সুপারিশ করে। প্রতিবছর আন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ এই দিনটি যথাযথভাবে উৎযাপন করে। বর্তমান সরকার জনসংখ্যাকে যেমন পরিকল্পিতভাবে জনসম্পদে পরিনত করে যাচ্ছে ঠিক তেমনিভাবেই মাতৃমৃত্যু, নবজাতক ও শিশুমৃত্যু হার কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সরকার সফলতা দেখিয়েছে এবং যার ফলশ্রুতিতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১০ আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন। ঠিক তেমনিভাবেই আগামী এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাসমুহ অর্জনেও সফলতা দেখাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০১৮ উপলক্ষ্যে মাননীয় রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি একটি সুস্থ জাতি গড়ে তোলার জন্য মা ও শিশুর মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। পাশাপশি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ দিবসের এক বিশেষ বার্তায় জানান যে, একটি স্বাস্থ্যকর জাতি গড়ে তোলার জন্য পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রজননস্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত সকল প্রতিষ্ঠানের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
পরিকল্পিত পরিবার সুরক্ষিত মানবাধিকার- এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখেই হোপ ফাউন্ডেশন কক্সবাজার জেলায় কাজ করে যাচ্ছে। পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং প্রজননস্বাস্থ্যের মানসম্মত সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হোপ ফাউন্ডেশন অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারের গৃহীত কর্মসূচি সমুহের সফল বাস্তবায়নে হোপ ফাউন্ডেশন বদ্ধপরিকর।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।