বিশেষ প্রতিবেদক :

কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি ও খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দ্রুত মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় জনসাধারন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মসজিদের ঈমান, মন্দিরের পুরোহিত, স্কুল শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সাধারন সম্পাদক ইমরুল হাসান রাশেদ তার বক্তব্যে বলেন, এই ভাবে প্রশাসন কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে চেয়ারম্যানকে হয়রানী করায় আমরা শংকিত।

তিনি বলেন, এই ভাবে আর চলতে পারে না। আমরা জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যানকে আইনী মোকাবেলা করে জনগনের মাঝে ফিরিয়ে আনবো।

খুরুশকুল হাটখোলা পাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন বক্তব্যে বলেন, আমরা চেয়ারম্যানকে যে কোন বিপদ আপদে কাছে পেয়েছি। সম্প্রতি একটি মিথ্যা মামলার আজ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন কারান্তরিত রয়েছে। আমরা সঠিক বিচারের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবি করছি।

খুরুশকুল থেকে শহরে মানবন্ধনে অংশ নিতে আসেন খুরুশকুল পুজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি রতন কান্তি দে। বক্তব্যে তিনি বলেন, এলাকায় সকল ধর্মের মানুষের সাথে ভালো যোগাযোগ ছিল চেয়ারম্যানের। তাকে এইভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে এটা মেনে নিতে পারছে না কেউ। তিনি দ্রত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের মুক্তি দাবি করেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার, চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ওয়াজ করিম বাবুল, পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, খুরুশকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন,খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি শাকের উল্লাহ কোম্পানি, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান সিকদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রমজান আলী জিতু প্রমুখ।

এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামীলীগ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে অংশ নেন খুরুশকুল ইউনিয়ন এর সহ¯্রাধিক জনসাধারন। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর এলাকাবাসী এবং খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে স্মারক লিপি প্রদান করা করেন নেতৃবৃন্দরা।

এদিকে জসিম উদ্দিন এর অনুপস্থিতিতে এলাকায় শূণ্যতা বিরাজ করছে বলে মত দিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত থেকে খুরুশকুল ইউনিয়নে দলের উন্নয়ন করেছেন তিনি। তৈরি করেছেন আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের শতশত কর্মী। এছাড়াও দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন জসিম উদ্দিন। জনগনের প্রত্যক্ষ রায়ে নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রতিনিধি। সে সাথে জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যানের মুকুটও রয়েছে তার মাথায়। এমন একজন ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন খুরুশকুলের তেতৈয়া গ্রামে এক নারীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে এটি মারামরিতে রূপ নেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে খুরুশকুল থেকে ছুটে যান চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। এসয় গুরুতর আহত আবছারসহ তার স্বজনকে নিয়ে নিজ গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আবছারকে মৃত ঘোষনা করেন।

এঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করে একটি পক্ষ। তাৎক্ষনিক চেয়ারম্যান জসিমকে নিরাপত্তা দিয়ে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে স্বার্থন্বেষী একটি মহল নিহত আবছারের ঘটনায় জসিম উদ্দিনকে মামলার আসামী করে। বর্তমানে জসিম উদ্দিন উক্ত মিথ্যা মামলায় কারাগারে রয়েছে।