আমি লায়লা বেগম (৭০)। আমার স্বামী টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের আলীর ডেইলের মরহুম নজির আহমদ মেম্বার। তিনি টেকনাফে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির একজন সদস্য এবং সাবরাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নের একজন সফল মেম্বার হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

আল্লাহর রহমতে আমার স্বামী মরহুম নজির আহমদ মেম্বার জমিদার বংশের সন্তান ছিলেন। তিনি প্রচুর সম্পত্তি রেখে গেছেন। তাদের বংশের সামাজিক মর্যাদায় আমরা এখনো মান সম্মান নিয়ে পথ চলছি। আমার স্বামীর সম্পত্তি থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় হয়। আর এই সম্পত্তি দেখাশুনা করে আমার দুই ছেলে আকতার কামাল মেম্বার (৩৪) ও সাহেদ কামাল (৩০) স্বাছন্দ্যভাবে সংসার চলছে।

আমার সন্তানদের কোন ব্যবসা বা চাকুরি করারও প্রয়োজন নেই। বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির উপর নির্ভর করেই সংসার ভালোই চলছে। এতদিন ধরে তারা দুইভাই জনসেবা করে সামাজিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। কিন্তু এই জনপ্রিয়তা অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারনে। তাদের দুই ভাইয়ের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, মান মর্যাদা আর জনপ্রিয়তা সহ্য করতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারি একটি মহল কৌশলে এই দুই ভাইয়ের নাম ইয়াবা কারবারির তালিকায় ঢুকিয়ে দেয়। যা কল্পনাতীত ঘটনা। এ ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ মে আমার জ্যেষ্ঠ সন্তান আকতার কামাল মেম্বারকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়।

আমি দৃঢ় কন্ঠে বলতে চাই আমার ছোট ছেলে সাহেদ কামাল ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত নয়। কেননা আমার সন্তানকে ইয়াবার মত ভয়াল টেবলেট বিক্রির টাকায় চলতে হয়না। বাবার দেয়া ২৪ কানি সুপারি বাগান, ২০ একর চিংড়ি ঘের, ১২ একর লবণ মাঠ, ৩০ একর ধানি জমি ও টেকনাফ লামার বাজারের বিশাল মার্কেট নিয়ে তার সংসার চলছে। আমার ছেলে সাহেদ কামাল এইসব সম্পত্তি পরিচালনা করে মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করে। তারপরেও সে অপরাধমুলক কাজ করবে কেন ?

এলাকার সবাই জানে সাহেদ কামাল একজন অত্যন্ত ভদ্র ছেলে। কোন অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত নেই। থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র, সন্ত্রাসী, মানবপাচারের কোন মামলা নেই। সে নিজেকে তার পিতার মতো যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তার পিতার মতো সেও আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক চেতনায় বড় হচ্ছে। সামাজিক কর্মকান্ডে সবাইকে সে সাহায্য সহযোগিতা করে। সে নিজেকে জনসেবায় নিয়োজিত রাখে। এতে সমাজে সাহেদ কামালের ভাবমমূর্তি ও মান সম্মান বাড়ে। সমাজের এখন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিতে পরিনত হয়।

তার এই জনপ্রিয়তার কারনে স্থানীয় স্বার্থান্বেষী প্রতিপক্ষ সাহেদের অগ্রযাত্রা থামাতে কৌশলে তার নামটি ইয়াবা তালিকায় ঢুকিয়ে দেয়। আমি বৃদ্ধা সাহেদ কামালের মা সংশ্লিষ্ট আইন শৃংখলাবাহিনীর কাছে বিনীত আরজি জানাচ্ছি- আমার কনিষ্ট সন্তান সাহেদ কামালের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। তালিকায় নাম থাকলেও বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।