প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

রামু উপজেলার দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভুট্টোকে জড়িয়ে ইয়াবা সংক্রান্ত ভিত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করায় রামু উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে রামু উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি চাকমারকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঈদগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভট্টো, খুনিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাংবাদিক আব্দুল মাবুদ, রাজারকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, রশিদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ইসমাইল নোমান, কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ জানিয়েছেন- মো. ইউনুচ ভূট্টো মাদকের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তিনি নির্বাচনী ইশতেহার এবং পোষ্টারে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করা ও দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ইউনিয়ন করার ঘোষনা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অসংখ্য ইয়াবা, মদ ব্যবসায়িকে তিনি রামু থানায় সোপর্দ করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া একজন জনপ্রতিনিধি কখনো ইয়াবা ব্যবসায় সম্পৃক্ত হতে পারে না।

সম্প্রতি পরিবর্তনডটকম এর সুত্রে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ‘টার্গেট কক্সবাজারের ইয়াবা গডফাদাররা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে রামু উপজেলার ইয়াবার পৃষ্ঠপোষক বা গডফাদার শীর্ষে মর্মে চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টোর নাম উল্লেখ করায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির নেতৃবৃন্দ বিষ্মিত হয়েছেন।

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত। এ কারনে তিনি নির্বাচনে বিপুল ভোট বিজয়ী হন। আমাদের জানামতে চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো কখনো ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার কোন অভিযোগ অতীতেও ছিলো না, এখনো নেই। কোন সরকারি তালিকাতেও তাঁর নাম নেই। নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থীরা ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ি হিসেবে অপপ্রচার চালিয়ে চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টোর জনপ্রিয়তা ও দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে। বরং চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো উপজেলার আইনশৃংখলা কমিটির প্রত্যেকটা সভায় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্ছার থাকেন।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আদর্শে অনুপ্রানিত একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। দীর্ঘদিন দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া তিনি ইউনিয়নের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিন মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ইউনিয়নে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে জিনেরঘোনা ইউনুচ ভুট্টো প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেইন্দা লারপাড়া দারুল উলুম হেফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

আমরা জাতির বিবেক সাংবাদিকদের প্রতি এ ধরনের স্পর্শকাতর সংবাদ প্রকাশে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। এসব ভিত্তিহীন সংবাদে এলাকার সচেতন জনগণ ও আইনশৃংখলাবাহিনীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সকল ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়িদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।