শনিবার (২৬ মে) দৈনিক কক্সবাজার, দৈনিক সকালের কক্সবাজার, দৈনিক ইনানী ও দৈনিক বাঁকখালী ও অনলাইন পত্রিকা পরিবর্তন ডটকমে প্রকাশিত ‘টার্গেট কক্সবাজারের ইয়াবা গডফাদাররা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে রামু উপজেলার ইয়াবার পৃষ্ঠপোষক বা গডফাদার শীর্ষে মর্মে আমি এবং আমার ভাই নুরুল আজিমের নাম উল্লেখ করায় আমি হতবাক হয়েছি।
আমি কখনো ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমার কোন আত্মীয়-স্বজনও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত নেই। কোন ইয়াবা ব্যবসায়ির সাথে আমার বা আমার পরিবারের কোন সদস্যের ন্যূনতম সম্পর্কও নেই। এমনকি আমার বিরুদ্ধে বা আমার পরিবারের কারো বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত থাকার কোন অভিযোগ অতীতেও ছিলো না, এখনো নেই। কোন সরকারি তালিকাতেও আমার নাম নেই। এরপরও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এ সংবাদে আমাকে এবং আমার ভাইকে জড়িয়ে আমার দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চলছে।
মূলত আমি বিগত ইউপি নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমার দুই প্রতিদ্বন্ধি শত্রুতাবশত আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। এছাড়া রাজনৈতিক ভাবে প্রতিদ্বন্ধি কিছু নেতাকর্মীও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে মেতেছে। আমার ধারনা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারকারিরাই এ সংবাদে আমার নাম প্রকাশে ইন্ধন দিয়েছে।
আমি একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। দীর্ঘদিন ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে আমি সংসারের জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। আমি কখনো বিত্তশালী ছিলাম না। এখনও নেই। এমনকি আমার ব্যাংক হিসাবেও কোন অস্বাভাবিক লেনদেন হয়নি। যা তদন্ত করলে জানা যাবে। সম্প্রতি আমার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা এলাকার লোকজনকে উদ্দেশ্য করে আমাকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকী দিয়েছেন। এ সংবাদ পড়ে প্রতীয়মান হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারিরাই আমাকে ইয়াবা ব্যবসায়ি বানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন।
আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আদর্শে অনুপ্রানিত ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাসী একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। আমি দীর্ঘদিন রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারে আমি মোটেও ভীত নই।
এছাড়া দক্ষিন মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ইউনিয়নে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে জিনেরঘোনা ইউনুচ ভুট্টো প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেইন্দা লারপাড়া দারুল উলুম হেফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি।
আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করার আন্দোলন করে আসছি। আমার নির্বাচনি ইস্তেহারেও দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করার ঘোষনা ছিল। যা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকাবাসির সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করছি। তখন থেকে মাদক ব্যবসায়িরা আমার শত্রুতে পরিনত হয়েছিলো। আমার ধারনা কৃচক্রী মাদক ব্যবসায়িরা সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্যদিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
আমি সংবাদপত্র সংস্থা ও সাংবাদিকদের প্রতি নিরীহ ব্যক্তিদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ এবং এ ধরনের স্পর্শকাতর সংবাদ লেখনীতে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি উল্লেখিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ এবং আইনশৃংখলা বাহিনীসহ এলাকাবাসিকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
………………………………………………….
প্রতিবাদকারী;
মো. ইউনুচ ভূট্টো
চেয়ারম্যান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ।
রামু উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ মিঠাছড়ির জনসাধারণ।
রামু, কক্সবাজার।