বলরাম দাশ অনুপম:
অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে কক্সবাজারে রাস্তা বাড়ানোর উপায় নেই। তাই যানজট নিরসনে যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অপরিকল্পিত কক্সবাজারে যানজট ও অসংখ্য টমটম ইজিবাইক যানজট সৃষ্টির অন্যতম বাহন। টমটমের অসহ্য যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ পর্যটন শহরবাসীর জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়। সড়ক দুর্ঘটনা ও পর্যটন শহরের যানজট কমাতে অতি শীঘ্রই টমটম কক্সবাজারের আশেপাশের মফস্বল এলিাকায় গুলোতে সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে দেয়া কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল-দেখার যেন কেউ নেই টমটমের (ইজি বাইক) যন্ত্রনায় অস্থির পর্যটন শহর কক্সবাজারবাসী। শহরের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে শহরবাসীর ব্যবহারের দু’লেইন বিশিষ্ট একমাত্র চলাচলের রাস্তা। হরেক রকম যানবাহনের ভার সইতে সইতে অনেক আগ থেকেই জটিল সব দুরোগ্য রোগে আক্রান্ত আমাদের চলাচলের এই সড়কটি। বাস, ট্রাক, জীপ, পিকআপ, ডাম্পার, সিএনজি টেক্সি, রিক্সা, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, সাইকেল, মটর বাইক, করিমন, নসিমনসহ কত কি যে চলছে এই রাস্তার উপর দিয়ে তার কোন হিসেব নেই। অন্য সব ধরনের যানবাহনের সংখ্যা নিয়মের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও টমটম (ইজিবাইক) নামক আজব এই যানের সংখ্যা নিয়ন্ত্রনে রাখা দু:সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারনা করতে পারেন ছোট এই পৌর শহরে আনুমানিক কত হাজার টমটম (ইজিবাইক) রয়েছে? আমাদের দেশে সব ধরনের মটর যানের লাইসেন্স দেয় সাধারণত বিআরটিএ।

বিআরটিএর ভাষ্য মতে যেকোন মটর যানের লাইসেন্স ইস্যু করার আগে সেই যানের ফিটনেস পরীক্ষা করা হয় এবং ফিটনেস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হলে লাইসেন্স প্রধান করা হয়। জন্মই যার অশুদ্ধ তার আবার ফিটনেস? টমটম (ইজিবাইক)নামক যানবাহন টির নির্মান ক্রুটির কারনে এর কোন ফিটনেস ই নেই। ফিটনেস ই যখন নেই তখন ফিটনেস পরীক্ষার প্রশ্নই বা আসবে কেন? সুতরাং নির্মান ক্রুটির কারনে এই বিশেষ যান বাংলাদেশের রাস্তায় চলাচলের জন্য সম্পূর্ন অযোগ্য। তাই বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এই যানের লাইসেন্স প্রধান থেকে সম্পূর্ন বিরত আছে শুরু থেকে। যেখানে স্বয়ং বিআরটিএ লাইসেন্স ইস্যু করছেনা সেখানে নিয়মের বাইরে গিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স দেয় কিভাবে তা আমার মাথায় আসছেনা।

কক্সবাজার পৌরসভার ইস্যুকৃত টমটম লাইসেন্সের সংখ্যা বর্তমানে ৩০০০ হাজারের এর ও বেশী। আর কোন ধরনের লাইসেন্স না নিয়ে শুধু মাত্র পৌরসভা কর্তৃক ইস্যুকৃত বিশেষ এক ধরনের টোকেন ব্যবহার করে এই শহরে চলছে আরো প্রায় ১২০০০ হাজারের বেশী টমটম (ইজিবাইক)। এই যদি হয় পর্যটন শহরে টমটমের পরিসংখ্যান তাহলে কিভাবে কমবে শহরের যানজট আর কিভাবেই বা থামবে মৃত্যুর মিছিল। কক্সবাজারে শহরে চলাচল করা এই চৌদ্দ হাজারের ও বেশী টমটমের (ইজিবাইক) ব্যাটারী চার্জ করতে দৈনিক কি পরিমান বিদ্যুৎ লাগে সেই হিসেবটাও নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে আপনাদের। খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সেই হিসেবটাও আপনাদের জানাবো। আসুন.. আমাদের আশপাশের পরিচিত জনদের যারা টমটম থেকে আয় করে নির্ভরশীল তাদের টমটম ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করি। টমটমের পরিবর্তে অন্য কোন মাধ্যম থেকে উপার্জনের পথ খুঁজি। পর্যটন শহরের যানজট ও দূর্ঘটনা কমাতে ১০০০০ দশ হাজার টমটম অতি শীঘ্রই কক্সবাজার শহরের আশপাশের মফস্বল গুলোতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সময়োচিত পদক্ষেপ কামনা করছি।