শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

দুর্বলের দ্বারা সবলের অত্যাচার আর কত দিন? ম্যাজিষ্ট্রেট, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ অমান্য ও বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ঈদগাঁওয়ের পশ্চিম দরগাহ পাড়া এলাকায় বসতঘরের ৬০ বছরের পুরনো চলাচলের পথ বন্ধ করে দিল প্রতিপক্ষরা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান হোসেন প্রিন্স, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম ও তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের পশ্চিম দরগাহ পাড়া এলাকার মৃত জমির উদ্দীনের পুত্র মোঃ শফিউল আলম ২০ বছর পূর্বে স্থানীয় ফজর আলী ওয়ারিশগণের কাছ থেকে চলাচলের পথসহ বসতভিটা ক্রয় করে। ইতোপূর্বে চলাচলের পথের প্রতি লোলুপ দৃষ্টি পড়ে পাশ্ববর্তী মৃত করিম আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম গংয়ের। তারা ইতিমধ্যে চলাচলের পথটি বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শফিউল আলম বাদী হয়ে পুলিশ সুপার, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও কোন সূরাহা হয়নি।

ফলে ন্যায় বিচারের আশায় পুনরায় কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ৬জনকে বিবাদী করে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে শুনানী পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলমকে নির্দেশ দেন। তিনি উভয়পক্ষকে নোটিশ ইস্যু করে সমাধানের লক্ষ্যে পরিষদে বৈঠকে বসেন।

এদিন চেয়ারম্যান নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সামগ্রী সরানোর নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নুর আয়েশা, পুত্র রিদুয়ান, মেয়ে মিনু আরা, কহিনুর, স্বামী রশিদ প্রকাশ রইস্যা ও রশিদ নামের আরো কয়েক ব্যক্তি শফিউল আলমের স্বজনদেরকে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে। এমনকি তাদের দাবীকৃত মোটা অংকের টাকা না দিলে চলাচল করতে বাধা সৃষ্টি করবে বলে হুংকার ছড়ায়। এমনকি রাতারাতি ইট, বালি, কংকর, মজুদ এবং তাদের কাপড় চোপড় স্থুপ করে রাখে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শফিউল আলম জানান, ভিটে জমির রেকর্ডীয় মালিক ফজর আলীর ওয়ারিশ গণও প্রায় ৪০ বছর ধরে (১.২৫ কড়া) চলাচলের পথ (লম্বা ৩০ ফুট, প্রস্ত ৬ ফুট) ব্যবহার করে আসছিলাম। হঠাৎ প্রতিপক্ষরা মোটা অংকের দাবীতে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় ২ পরিবারের ১২ সদস্য বর্তমানে বন্দী রয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রতিপক্ষরা ইতিমধ্যে নিজেদের ক্ষতি সাধন করে আমাদেরকে ফাঁসানোসহ রাতের অন্ধকারে হামলা করার জন্য দা,রড লাঠি নিয়ে বসে থাকে।বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন জানায়, উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য নুরুল ইসলামকে কল করা হলে তিনি জানান জায়গাটি তাদের। এ ব্যাপারে বিচার চলমান বিস্তারিত পরে বলতে পারব।