মোস্তফা কামাল : লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে এক দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিরীহ ব্যক্তির মালিকানাধীন জায়গা জোরপূর্বক দখলে নিতে রাতের আধারে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জায়গার মালিক ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড হায়দারনাশী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গণির পুত্র মোঃ ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের ৭জন দখলবাজের নাম উল্লেখ করে লামা থানায় ১টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের হায়দারনাশী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গণির ২ পুত্র মোঃ ইয়াকুব আলীর নামে ২৮৬নং ফাঁসিয়াখালী মৌজায় ৮১নং আর. হোল্ডিং খতিয়ানে ৪ একর ২০ শতক জমি ও অপর পুত্র মোঃ জাফর আহামদের নামে ৮২নং খতিয়ান ভোক্ত ৪ একর ২০ শতক ৩য় শ্রেণির জমি রয়েছে। একই ভাবে তাদের চাচাতো ভাই আব্দুল গফুরের নামে ৮১নং খতিয়ানে ৪ একর ২০ শতক ও তার ভাই আব্দু শুক্কুরের নামে ৭৯নং খতিয়নে ৪ একর ২০ শতক ৩য় শ্রেণির পাহাড়ী জমি রয়েছে। এসব জমিতে তারা বনজ ও ফলজ চারা রোপণ করে ঘেরা বেড়া দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে যুগ-যুগ ধরে ভোগ করে আসছেন। কিন্তু তাদের নামীয় ওই জমির প্রতি লুলোপ দৃষ্টি পড়ে একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কুমারী এলাকার মোঃ হোসেনের পূত্র চি‎িহ্নত দখলবাজ মমতাজ উদ্দিন আহামদ, তার পূত্র জাকের হোসেন, ছানা উল্লাহ, মৃত জহির উদ্দিনের পুত্র শাহা জাহান, এরশাদ আলীর পুত্র আব্দুল মাজেদ বুলবুল, আমীর হামজার পুত্র শাহাদত কবির ও মৃত মোক্তার আহামদের পূত্র মুজিবুর রহমান সহ আরো কয়েকজনের। বর্তমানে অভিযুক্তরা এসব জমি জোরপূর্বক জবর দখলে নিতে জমির মাঝখানে রাতা রাতি সেমি পাকা ঘর নির্মাণ সহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাদী ইয়াকুব আলী জানান, তার ও তার ভাইদের নামীয় জায়গা অভিযুক্তরা জবর দখলে নিতে গত ৩ এপ্রিল তারা দলবদ্ধ হয়ে জমিতে হানা দিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এতে বাঁধা দিলে দখলবাজরা মারমুখী হয়ে উঠে। এ ঘটনায় পরদিন ভুক্তভোগী সব জমি মালিকের পক্ষে ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে উল্লেখিত দখলবাজদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ.এন.ও’র) আদালতে ১টি ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে গত ৯ এপ্রিল হতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

একই সাথে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ও.সি)কে নির্দেশ দেন। কিন্তু এতে বিবাদী পক্ষের লোকজন দখলবাজরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে তাদের দখল কাজ অব্যাহত রাখে। এতে বাদী থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে গত ১৬ মে থানার এস.আই কৃষ্ণ কুমার দাশ একদল পুলিশ সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নির্মিত ঘরের ছবি তোলে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ বরে কেউ ঐ জমিতে কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।