নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের ফলে ইন্টারনেট যোগাযোগ এখন স্বাভাবিক বিষয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ এখন যোগাযোগ রক্ষায় বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তবে আশঙ্কার বিষয় ইন্টারনেটে ফাঁদে পড়ে অপরিপক্ক ছেলেমেয়েরা নানা ধরণের ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে অনলাইনে যৌন নির্যাতন এখন অধিক মাত্রায় বেড়েছে। এর ফলে অনেক ছেলেমেয়ে ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনছে। এই ক্ষতির ফলে একটি পরিবারও ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই অপরিপক্ক সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকদের অধিকতর খেয়াল রাখতে হবে।’

গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃক আয়োজিত ইন্টারনেটের অপব্যবহার ও ট্যুরিজমের মাধ্যমে শিশুদের যৌন নির্যাতন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা একথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, অপরিপক্ক ছেয়েমেয়ের হাতে কোনোভাবেই মোবাইল দেয়া যাবে না। কমিউটার ব্যবহার করলেও ইন্টারনেট ব্যবহারে সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে। ইন্টারনেটে সন্তান কি সাইটে ঢুকছে। ফেসবুক ইমেইলে কার সাথে যোগাযোগ করছে, কেউ তাকে নেতিবাচক প্ররোচনা দিচ্ছে কিনা- সব পর্যবেক্ষণ করতে হবে। না হলে আপনার সন্তান কারো দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হতে পারে।

প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তি কক্সবাজারের সমন্বয়কারী অশোক কুমার সরকার। সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত। উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের কর্মসূচী সংগঠক অর্চনা দাশ। আলোচনা সভায় কক্সবাজারের প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার ২০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।