খুলনা সিটি করপোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের ভোটার ছোরাব শেখ। আজ মঙ্গলবার সিটিতে নতুন মেয়র-কমিশনার নির্বাচনের ভোট হচ্ছে। তাই সকাল সোয়া ১০টায় ৬নং ওয়ার্ডের শেরে বাংলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দিতে যান ছোরাব শেখ। কিন্তু বুথে ঢোকার পর নির্বাচনী কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েদেন, ‘আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে।’ ‘সেকি আমি তো ভোট দেইনি, তাহলে আমার ভোট দেয়া হলো কীভাবে? কে দিলো আমার ভোট?’- প্রশ্ন ছোরাব শেখের। তার এ প্রশ্নের উত্তর ছিল না কারো মুখে।

খুলনা সিটি নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় নগরীর ওই ভোট কেন্দ্রে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

ছোরাব শেখ কেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী কর্মকর্তা তাকে জানান যে, তার ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন রাখেন- ‘তাহলে আমার ভোট কে দিলো?’

তবে ঘটনা শুধু ছোরাব শেখের ক্ষেত্রেই নয়, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন কেন্দ্রের আরও বেশ কজন ভোটারের কাছ থেকে।

এদিকে, ভোট শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ৩০টি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

সকাল পৌনে ৯টায় রহিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান শেষে এ অভিযোগ করেন তিনি।

মঞ্জু বলেন, এসব অভিযোগ জানাতে রিটার্নিং অফিসারকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তিনি বলেন, জনগণ এ নির্বাচন চায়নি। এখনো সময় আছে। ২২ নম্বর, ২৯, ৩০, ৩১, ২৮,২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বহু কেন্দ্রে সরকারি দলের ক্যাডাররা দখল করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমি তারপরেও শেষ পর্যন্ত থাকবো।  কিন্তু ভোট ডাকাতি হলে নির্বাচন মেনে নেবো না।

শীর্ষনিউজ