ইমাম খাইর, সিবিএন:
সাংগঠনিক কর্মকান্ডে নিবেদিত কর্মী হিসেবে ১৫ জনকে মে দিবসের সম্মাননা প্রদান করেছে কক্সবাজার জেলা শ্রমিক দল।
পহেলা মে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেনঃ
শামসুল আলম (চকরিয়া পৌরসভা), মোস্তাক আহাম্মদ (চকরিয়া উপজেলা), হারুনুর রশিদ বাদশা (মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা), মীর কাশেম মিয়া (পেকুয়া উপজেলা), আয়ুব খান (মহেশখালী উপজেলা), নুরুল আবছার (ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা), ইকবাল হোসেন (কক্সবাজার পৌরসভা), মো. আলমগীর (হোটেল শ্রমিক দল), খোরশেদ আলম (কক্সবাজার পৌরসভা, মরণোত্তর), মো. ইউছুপ (কক্সবাজার পৌরসভা), মোহাম্মদ ইছহাক (কক্সবাজার পৌরসভা), ফরিদুল আলম (পর্যটন অঞ্চল শ্রমিক দল), আবদুল মান্নান (বাবুর্চি শ্রমিক দল), জিয়াউর রহমান জিয়া (টেকনাফ উপজেলা), আবদুর রশিদ (টেকনাফ পৌরসভা)।
শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি কক্সবাজার পৌরসভার সফল প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম।
জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. কুতুব উদ্দিন কমিশনারের সঞ্চালনায় শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক পিপি এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মো. আলী, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ বোখারী, জেলা যুব দলের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক পৌর প্যানেল মেয়র জিসান উদ্দিন জিসান, সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জিকু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. ইউনুছ, কক্সবাজার ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা যুব দলের যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মুকুল, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনির উদ্দিন মনির।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, দলীয় কাজে উদ্ধুদ্ধ করতে এ প্রথা চালু করা হয়েছে। প্রতি বছর বাছাইকৃত কর্মীদের এ স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
দলের তৃণমূল মনে করেন, দলীয় নেতাকর্মীদের সম্মাননা প্রদানের প্রথা রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুনমাত্রা যোগ করেছে। অতীতে কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পদক দিয়ে সম্মানিত করার দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন।
এবিষয়ে জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক এম খাইরুল আমিন হিরুর কাছে জানতে চাইলে বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ করতে এটি নতুন প্রয়াস। যারা সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারী বাহিনী দ্বারা নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হওয়া সত্ত্বেও দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় ও নেতাকর্মীদের সাথে রাজপথে থেকেছেন, তাদের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
তিনি মনে করেন, এ ধারা ভবিষ্যতে নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকতে আরো বেশি উৎসাহিত করবে।