ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার সফররত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রতিনিধিদলের কাছে ৬ দফা দাবী পেশ করেছে কক্সবাজার সিভিল সোসাইটি ও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)।
রবিবার (২৯ এপ্রিল) ইনানী রয়েল টিউলিপে মধ্যাহ্নভোজের পর দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে নিরপত্তা পরিষদে পোল্যান্ডের প্রতিনিধি মিজ জোয়ানা রোনেকস এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
দাবীসমূহ হলো:
প্রথমদ দফা:
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে মায়ানমার সরকারের যেসব ব্যক্তি এই জাতিগত গণহত্যায় জড়িত, তাদেরকে আন্তর্জাতিক আদালতের আওতায় আনার প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে।
দ্বিতীয় দফা:
মায়াননমারের বাণিজ্য ও অস্ত্র আমদানির উপা নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
তৃতীয় দফা:
মায়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, রোহিঙ্গাদের সকল অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
চতুর্থ দফা:
মায়ানমার সরকার যেন রোহিঙ্গাদেরকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জন্য নির্ধারিত ক্যাম্পে রাখতে রা পারে তার জন্য ব্যবস্থা নিন। রোহিঙ্গাদেরকে অবশ্যই তাদের জমিগুলিতে বসবাসের অধিকার দেওয়া এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিৎ। শান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপস্থিতি অবশ্যই থাকতে হবে।
পঞ্চম দফা:
কক্সবাজারের জন্য জাতিসংঘের একটি ‘পরিবেশগত পুনরুদ্ধার তহবিল’ গঠন করা দরকার, কারণ আমরা কক্সবাজার জনগণ ইতিমধ্যেই আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ, অর্থাৎ জল, বনভূমি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হারিয়ে ফেলেছি। উল্লেখ্য যে, কক্সবাজারের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল।
ষষ্ঠ দফা:
পরিচালন ব্যয় কমানোর জন্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলি তাদের গ্র্যান্ড ব্যাগেইন প্রতিশ্রুতি পালন এবং এবং রোহিঙ্গা ত্রাণ কর্মসূচিতে স্থানীয় জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে ।
এ সময় পরররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ মিয়া সেপ্পো উক্ত মধ্যাহ্নভোজ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সিসিএনএফ-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এর কো-চেয়ার আবু মোরশেদ চৌধুরী (পালস), বিমলচন্দ্র সরকার (মুক্তি), মকবুল আহমেদ (কোস্ট ট্রাস্ট), খালেদা আখতার (ইপসা) এবং এসএআরপিবি’র কাজী মুঈদ। সফররত প্রতিনিধি দলের এক মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে এই ছয়টি দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।