মোস্তফা কামাল, ডুলাহাজারাঃ

চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাকোঁর উপর নির্ভর করছে প্রায় ৪শতাধিক পরিবারের চলাচল।

এতে করে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামটির সাধারণ নারী-পুরুষ সহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত ১টি গ্রামের নাম পূর্ব ডুমখালী। এলাকার জন প্রতিনিধিরা প্রতি ৫ বছর পর-পর পরিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি গ্রামটিতে।

সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালুমঘাট হাই-ওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন কাটাখালী খালের উপর নড়-বড়ে সাঁকো দিয়ে জীবন ঝুকি নিয়ে পারা-পার করছে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী সহ শত-শত নারী পুরুষরা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব ডুমখালী তাদের গ্রামের ৪ শতাধিক পরিবারের প্রায় ৩ হাজার লোকজন যুগ-যুগ ধরে সাঁকো দিয়ে চলাচল করে জীবন যাপন করে আসছেন। চলাচলের জন্য এলাকার লোকজন প্রতি বছর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও বর্ষা কালে পাহাড়ী ঢলের পনির ¯্রােতে সাঁকো ভেঙ্গে যায়। তখন এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা।

স্থানীয় আরবিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মারুফা জন্নাত জানান, শুষ্ক মৌসুমে খালটি পার হওয়া গেলেও বর্ষাকালে ঢলের পানির ¯্রােতে সাঁকো ভেঙ্গে গেলে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

স্কুল ছাত্র ফরহাদ, মোঃ বাপ্পি, নুর কাশেম সহ কয়েকজন কোমলমতি শিক্ষার্থী জানান, আমরা সাঁকো দিয়ে পার হয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করি। আবার সাঁকো থেকে পানিতে পড়েও যায়! পানিতে পড়ে গেলে আমাদের বই-খাতা হারিয়ে যায়। সরকারের কাছে গ্রামটির জন সাধারণের প্রাণের দাবী মহা-সড়ক সংলগ্ন কাটাখালী খালের উপর ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া এল.জি.ই.ডি প্রকৌশলীর এক কর্মকর্তা বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা লিখিত আবেদন করলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।