১৭ এপ্রিল দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘টেকনাফের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আরমানকে খুঁজছে পুলিশ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি পুরোপুরি মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর।

আমি শাহপরীরদ্বীপের খ্যাতনামা জমিদার মরহুম নুরুল হকের ছেলে, মেসার্স সীমান্ত মৎস্য ফার্ম, মেসার্স আফনান ইন্টারন্যাশনালসহ অনেক ট্রেডলাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী। পৈত্রিকভাবে আমি প্রতিষ্ঠিত। আমাদের পারিবারিক সম্পদ ভোগ করেই অসংখ্য পরিবার আজ প্রতিষ্ঠিত।

দুঃখজনক হলো- ইয়াবা ব্যবসার মতো ঘৃণিত, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদ চরম মিথ্যাচার ও মানহানিকর। প্রতিপক্ষ ও জ্ঞানপাপীদের সরবরাহ করা বক্তব্য কোনভাবেই একটি গণমাধ্যমের সংবাদ হতে পারেন। এরকম সংবাদ সত্যনিষ্ট ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংবাদের আলোকে আমার প্রশ্ন-
কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাথে আমার সম্পর্ক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কখনকার তালিকায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কোন ব্যক্তির নিকট ওই তালিকা আছে কিনা, এলাকার কোন ব্যক্তিকে আমি অত্যাচার করেছি, কখন থেকে কোন মামলায় পুলিশ আমাকে খুঁজছে? জবাব দিন। নিঃসন্দেহে প্রশ্নগুলোর জবাব কারো নিকট নেই। নিউজে আরো যাদের নাম জড়ানো হয়েছে, তাদের কেউ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। পত্রিকায় দুই কলম বিরুদ্ধে লিখে দিলেই অপরাধী হয়ে যায়না। খবরের পেছনেও খবর আছে।

আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলছি, কোন অপরাধকর্মের সাথে আমার সম্পৃক্ততা নাই। কারো কাছে সঠিক প্রমাণ/অভিযোগ থাকলে জনসম্মকে প্রমাণ করুন। কাপুরুষের মতো পেছনে অপবাদ কেন?

২০১৫ সালে ৬৪ ভরি স্বর্ণ নিয়ে চন্দনাইশে কে ধরা পড়েছিল, কেন ধরা পড়েছিল? তার দায়ভার আমার উপর কেন বর্তাবে? যার অপরাধের মাশুল সেই দিবে।

১৯ মার্চ শাহপরীরদ্বীপ পশ্চিমপাড়া ঘাটে ১৭ লাখ ইয়াবার চালানসহ ট্রলার আটকের ঘটনা ঘটে থাকলে বিজিবি-কোস্টগার্ড মামলা করলোনা কেন? এটি সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিত অপবাদও বটে। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

আমি কোন মামলার আসামী নই। আমার বিচরণ তো দিনের মতো স্পষ্ট। পুলিশ আমাকে কেন খুঁজবে? ষড়যন্ত্রকারীদের ইন্দনে একটি ইয়াবার মামলায় (থানা মামলা-৫৩, জিআর-২০৫) আমাকে জড়ানো হয়েছিল। যা পরবর্তীতে তদন্ত শেষে আমাকে বাদ দেয়া হয়। কোন সংস্থা/বাহিনীর কাছে আমার বিরুদ্ধে কোন ধরণের অভিযোগ নেই।

চলতি সনের জন্য ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় আমি শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট ইজারা নিই। মূলতঃ জেটিঘাট ইজারায় আমার কাছে হেরে যাওয়া ব্যবসায়ীক প্রতিপক্ষরাই এসব অপপ্রচার করছে। সময়ে সব কিছু খোলাসা হবে, ইনশাল্লাহ। সংবাদে টেকনাফ থানার ওসির বরাতে যে বক্তব্য ছাপানো হয়েছে, তাও অপপ্রচারের অংশ। যেসব কথা ওসি সাহেব বলেননি তা সংবাদে ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এরকম বিভ্রান্তিকর সংবাদ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টমহলকে অনুরোধ করছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

প্রতিবাদকারী
মোহাম্মদ আরমান
পিতা- মরহুম নুরুল হক
শাহপরীরদ্বীপ উত্তরপাড়া, টেকনাফ।