নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা:
দীর্ঘ ৮ বছর পর আগামী ২ মে অনুষ্ঠিতব্য পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সভাপতি ও সম্পাদক পদের দুইজন প্রভাবশালী প্রার্থী।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বরাবরে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে সভাপতি পদ থেকে আবু তাহের কোম্পানী এবং সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ডা: সিরাজুল হক মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।

২ মে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল। এতে সভাপতি পদে শক্তিশালী তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ১৮ মে ছিল প্রত্যাহারের শেষ দিন।

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সভাপতি পদপ্রার্থী আবু তাহের কোম্পানী (বাই সাইকেল) প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ায় অধ্যাপক শফি উল্লাহ (ছাতা) এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তারেক রহমানের (চেয়ার)।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক ডা: সিরাজুল হক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ইমরান মেম্বার।

সাধারণ কাউন্সিলররা মনে করেন, সভাপতি পদে অনেকটা নিশ্চিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির আস্থার প্রতীক অধ্যাপক শফিউল্লাহ।

এছাড়া অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও চাইছেন সভাপতি হিসেবে শফিউল্লাহ নির্বাচিত হউক।

শফিউল্লাহ একাধারে রাজনীতিক, সমাজসেবক ও শিক্ষক। নাইক্ষ্যংছড়িতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির হাতকে আরো শক্তিশালী করতে শফিউল্লাহর বিকল্প নেই।

ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ হারেজ জানান, অধ্যাপক শফিউল্লাহ তৃনমূলের খবর রাখেন।সভা সমাবেশে ঠিক সময় পাওয়া যায়। দলের সুখে দুঃখে ছুটে যান। তাকেই কাউন্সিলরা নির্বাচিত করবে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উবাচিং মার্মা জানান, অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রথম পছন্দ অধ্যাপক শফিউল্লাহ।তিনি ছাত্র সংগঠনের অভিভাবক, ছায়ার মতো। তাই আশা করছি তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের পছন্দকে প্রাধান্য দিবেন।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৫ ইউনিয়ন (নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, সোনাইছড়ি, ঘুমধুম, দোছড়ি ও বাইশারী) কমিটির সভাপতি সম্পাদক এই ১০ কাউন্সিলরের মধ্যে ৭ জনই অধ্যাপক শফিউল্লাহর পক্ষে। যে ৩ জন এখনো অনিশ্চিত তারাও যে কোন সময় পক্ষে চলে আসবেন।

মাঠ জরিপে দেখা গেছে, মোট ১৮১ কাউন্সিলর এর মধ্যে ১৩০ জন অধ্যাপক শফিউল্লাহর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা প্রচারণা চালাচ্ছে। দলের প্রতি আন্তরিকতার কারণে সাধারণ নেতাকর্মীদের অধিকাংশ জননেতা শফিউল্লাহকে সমর্থন করে। সব মিলিয়ে সভাপতি ত্যাগী নেতা অধ্যাপক শফিউল্লাহ নির্বাচিত হবেন-অনেকটা ধরে নেয়া যায়।

যে যাই বলুক, যোগ্য নেতৃত্ব চান দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কাউন্সিলের মাধ্যমে উঠে আসুক ত্যাগী নেতা। যেন শক্তিশালী হয় পাহাড়ি বাসন্দিাদের অভিভাবক বীর বাহাদুর।