খুটাখালী সংবাদদাতা:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে বলিখেলা ও বৈশাখীমেলা নামে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এসব কর্মকান্ড চলছে বলে একাধিক সুত্রে জানাগেছে।
অপরদিকে খুটাখালীতে কোনপ্রকার বলিখেলা বা বৈশাখী মেলার অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।
নতুন অফিস বাজারের উত্তর-পূর্ব পার্শ্বের সমভূমিতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে চালে আসছে এ অবৈধ জুয়া খেলার আসর। মহাসড়কে প্রদত্ত গেইড়ের ব্যানার অনুযায়ী বলিখেলা ও বৈশাখী মেলার কার্যক্রম সোমবার শেষ হওয়ার কথা। তবে বিভিন্ন কায়দায় আগামী একমাস পর্যন্ত বলিখেলা ও বৈশাখী মেলা চালু রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।

মহাসড়কে লাগানো গেইড়ের ব্যানারে লিখা রয়েছে চলমান আসর ১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে। কিন্তু জুয়া পরিচালনাকারীরা অত্যন্ত সুচতুর ভাবে আধা কিলোমিটারের মধ্যে মহাসড়কে আরো একটি গেইড় নির্মাণ করে। এতে ব্যানারে লিখা রয়েছে বলিখেলা ১৭, ১৮ ও ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এভাবে সংঘবদ্ধ জুয়াড়িরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত এ বৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগে জানায় বলিখেলা নামের এ জুয়াখেলায় জড়িয়ে পড়ছে এলাকার অধিকাংশ কিশোর ও যুবক। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না এ বিষাক্ত ছোবল থেকে। লোকজন আরো জানায় স্থানীয় মেম্বার কর্তৃক চালিয়ে আসা জুয়ার আসরটি মুসলমানের পবিত্র শবে মেরাজের দিনেও চালিয়ে আসছে। এতে এলাকার মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। অতিসত্বর খুটাখালীর বলিখেলা নামে জমজমাট জুয়ার আসর বন্ধ করা না হলে এলাকার যুবক ও ছাত্রছাত্রীদের চরম ক্ষতি হবে বলে সচেতন লোকজন জানায়।
এবিষয়ে জানতে খুটাখালী ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন খুটাখালীতে কোনপ্রকার বলি খেলা বসানোর কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানতাম না এখন অবগত হয়েছি। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হবে।