প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নোমান হোসেন প্রিন্স বলেছেন-ধর্মীয় মূল্যবোধকে জাগ্রত করে সমাজ ও দেশের কাজে সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন-সঠিক ধর্ম পালনের মধ্যে দিয়ে একজন ভাল মানুষ হওয়া যায়। আর সেজন্য প্রয়োজন স্ব-ধর্মকে সঠিক ভাবে পালন করা এবং ধর্মীয় শিক্ষাকে কাজে লাগানো। তিনি রবিবার রাতে খুরুশকুল পূর্ব হিন্দু পাড়াস্থ শ্রীশ্রী কেন্দ্রীয় কালী বাড়ি প্রাঙ্গনে আয়োজিত ১৭তম সার্বজনীন ষোড়শ প্রহরব্যাপি মহানামযজ্ঞের মহতি ধর্মসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

শ্রীশ্রী কেন্দ্রীয় কালী বাড়ি পরিচালনা কমিটির সভাপতি অনন্ত মোহন দে’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ধর্মসভায় ধর্মীয় আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ হরিনাম প্রচার সংঘের প্রতিষ্টাতা সভাপতি শ্রীপাদ নিত্যানন্দ গোস্বামী নয়ন ও বিশিষ্ট ধর্মতত্ত্ববিদ অধ্যাপক অজিত দাশ। ধর্মসভার শুরুতেই মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন শ্রীশ্রী কেন্দ্রীয় কালী বাড়ি পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা দশরথ দে।

বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে রাখেন-স্থানীয় সরকার শাখার ডিষ্ট্রিক ফ্যাসিলেটর আহসান উল্লাহ চৌধুরী মামুন, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জসিম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা, খুরুশকুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, এসকে মডেল হাই স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফেজ শাহ আলম, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম, জেলা হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ পরিতোষ দত্ত, খুরুশকুল ইউনিয়ন পুজা কমিটির সভাপতি অমল কান্তি দে, এসকে মডেল হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক রতন কান্তি দে।

বক্তব্যে রাখেন-মাষ্টার বাঁশি রাম দে, শ্রীশ্রী কেন্দ্রীয় কালী বাড়ি পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার বাবুল কান্তি দে, অর্থ সম্পাদক সাবেক মেম্বার বিমল কান্তি দে, মহোৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক অমিত কান্তি দে, অর্থ সম্পাদক রাম প্রসাদ রুদ্র প্রমুখ। ধর্মসভার আগে গীতাপাঠ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার মহানামযজ্ঞের অধিবাস হয়েছে। এছাড়া ১৭ ও ১৮ এপ্রিল অহোরাত্র হরিনাম মহাযজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণ করা হবে।