মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বাজারে পরিকল্পিত হামলায় বয়োবৃদ্ধসহ ২ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে।
আহত মোঃ শাহালম (৩৫)কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার পিতা শের আলী সওদাগর (৭৫)এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার রাতে ডুলাহাজারা বাজারের লবণ ব্যবসায়ী অফিসের সামনে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাসুত্রে জানা যায়, স্থানীয় বৈরাগিরখীল এলাকার শের আলী সওদাগরের লবণের মাঠ নিয়ে বিরোধ চলছিল তার ভাতিজাদের সাথে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিপূর্বে লবণ ব্যাবসায়ী অফিসে কয়েক দফা বৈঠক বসে এবং সমস্যার নিস্পত্তিও হয়ে যায় কিন্তু বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শের আলী সওদাগরের ভাতিজা মিন্টু গত কিছুদিন আগে চাচার লবণের মাঠ থেকে আশি মণ লবণ জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। এনিয়ে লবণ ব্যবসায়ী অফিসে আবগত করলে ফের বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেন বিচারকরা।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে শের আলী সওদাগরের লবণ মাঠের এক শ্রমিক বর্ণিত বিষয়ে বিচারকরা বৈঠকের জন্য ডাকছেন বলে মুঠোফোনে জানায়। খবর পেয়ে সে লবণ ব্যবসায়ী অফিস ডুলাহাজারায় উপস্থিত হলে তার ভাতিজা বৈরাগিরখীল এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের পুত্র মিন্টুর নেতৃত্ত্বে পরিকল্পিত হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতের স্বজনরা জানায় এসময় লোহার রড়, লাঠি, ওজন মাপার কেজি শীল নিয়ে বয়োবৃদ্ধ শের আলী সওদাগরকে অমানুষিক মারধর করে মিন্টুসহ তার ভাই নাজেম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, শামসুদ্দিন ও তার পুত্র মোঃ জায়েদ প্রকাশ পুতিয়া। পিতাকে মারছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শের আলীর পুত্র শাহ আলম উপস্থিত হলে তাকেও মারধর করে আহত করে।
এসময় তার কাছ থেকে তেত্রিশ হাজার টাকা দামের একটি (এস-ত্রি) মোবাইল সেট ও পিতা-পুত্র উভয়ের কাছ থেকে মোট ছিয়ানব্বই হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে উপস্থিত লোকজন আহত দু’জনকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। বয়োবৃদ্ধা শের আলীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে চিকিৎসক।
দু’দফা মারধরের ঘটনায় শের আলী ও তার ছেলে শাহালম গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফখরু উদ্দিন। ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন তারা এখনো চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত রয়েছে। আহতরা সুস্থ হলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বকতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এব্যপারে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।