নিজস্ব প্রতিবেদক
মোবাইলকোর্টে অহেতুক জরিমানার অভিযোগ এনে কক্সবাজার শহরে এলপি গ্যাস সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) কক্সবাজার এলপি গ্যাস পরিবেশক সমিতির এক সভা থেকে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসনের মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে সরকারী এলপি গ্যাস ডিলারদের জরিমানার অভিযোগ এনে বিভিন্ন দোকান বন্ধ পাওয়া গেছে। শহরের কোথাও গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খোলা পাওয়া যায়নি। অনেক গ্রাহক গ্যাস না পেয়ে ফেরত যেতে দেখা গেছে। গ্যাসের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পৌরবাসী।
শহরের কালুরদোকান এলাকার আবদুস সালাম জানান, বিকাল ৫টার দিকে রূপসা ট্রেডিং-এ গিয়ে দেখা যায় দোকান বন্ধ। দরজায় তারা ঝুলছে। গ্যাস না পেয়ে রান্নার কাজে বিকল্প খোঁজতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত জনগণকে অবর্ণনীয় কষ্ট পেতে হচ্ছে।
নুরপাড়ার আবুল কালাম জানান, পূর্ব কোন নোটিশ ছাড়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখায় গ্রাহকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিলিন্ডারে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা না থাকার অভিযোগে ১২ এপ্রিল খুরুশকুল সড়কের মাম্মি এন্টাপ্রাইজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের মোবাইলকোর্ট।
এর আগের দিন (১১ এপ্রিল) ৪০টির অধিক গ্যাস সিলিন্ডার রাখার অভিযোগে রূপসা ট্রেডিংকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরপর দুইদিনের অভিযানে শহরের গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাদের অভিযোগ, নিয়মতান্ত্রিক অভিযোগে জরিমানা করলে সমস্যা নাই। পূর্বে কোন সতর্কতা নোটিশ না অবগত না করেই অভিযান গ্যস ব্যবসায়ীরা মেনে নিতে পারছেনা। এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
খুরুশকুল সড়কের মাম্মি এন্টাপ্রাইজের মালিক ভুক্তভোগী মুহাম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, সরকারী নিয়ম মোতাবেক সমস্ত ডকুমেন্ট ক্লিয়ার থাকার পরও জরিমানা করা হয়েছে।
তার প্রশ্ন, সরকারী গ্যাস সিলিন্ডারে যদি মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা না থাকে, তাদের করার কি আছে? প্রশাসনের এমন অভিযান বন্ধ করতে দাবী তুলেছেন গ্যস সরবরাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
কক্সবাজার এলপি গ্যাস পরিবেশক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সিরাজুল হক বলেন, আামদের সমস্ত ডকুমেন্ট আপটুডেট থাকার পরও প্রশাসনিকভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। বিনা কারণে মোবাইলকোর্টে জরিমানা করছে। একারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্যাস সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ডিলারদের অবস্থান অনুযায়ী শুধু ৪০টি নয়, ৫০০ টি পর্যন্তগ্যাস সিলিন্ডারের কোটা আছে। জনস্বার্থ বিবেচনা না করে প্রশাসনের অভিযানকে মেনে নিতে পারছেনা ব্যবসায়ীরা।