ইমাম খাইর, সিবিএন :
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সক্ষমতা প্রায় দ্বিগুন হতে চলেছে। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে যুক্ত হতে চলেছে আরো নতুন ২৫০ শয্যা। এতে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল হবে “৫০০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল”। সংযুক্ত হবে আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সৌদি আরবের কিং সালমান রিলিফ সেন্টারের সুপারভাইজার জেনারেল ড. আবদুল্লাহ আল রাবিয়াহ এমন আশ্বাস দেন।
উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
ড. আবদুল্লাহ আল রাবিয়াহ আরো জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের উন্নয়নে সম্ভাব্য সব ধরণের সহায়তা দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সৌদি আরবের অনেক পুরোনো বন্ধু, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অনেক বিষয়ে দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের ভরণ-পোষণ এবং চিকিৎসা করিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে সম্মানের জায়গা করে নিয়েছে। তাই সৌদি আরবের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে আমরা অংশীদারিত্ব মূলক ভাবে কাজ করবো।
এর আগে সকাল ১০টায় ড. রাবিয়াহ প্রথমে হাসপাতালের রান্নাঘর, রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার স্থান ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডাব্লিএইচও’র এসইও কর্মকর্তা ডা. বার্ডন জন রানা, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পুচনু, সহকারী পরিচালক ডা. সোলতান আহাম্মদ সিরাজী, ডা. কামাল উদ্দিন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমানসহ ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য বড় বরাদ্দ দরকার। দাতাদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে অনুদান আশা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করতে সাহায্য করবে সৌদি সরকার
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।