ডেস্ক নিউজ:
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ জি এম আজমল আলী কাওসারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা করেছে কুবি প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই বরখাস্তের আদেশ জারি করে। এদিকে উপাচার্যের নির্দেশে বৃহস্পতিবার অভিযোগেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে প্রেরণ করার পর ওই সেল কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কুবির ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এম আজমল আলী কাওসার কুবির সান্ধ্যকালীন এমবিএ শাখার দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। তিনি ওই ছাত্রীদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি ও স্ট্যাটাস পাঠিয়ে বিব্রত করেন। গত রোববার রাতে ওই ছাত্রীরা অভিভাবকদের সহায়তায় প্রথমে বিভাগের প্রধানের নিকট এবং পরে সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ওই দুই ছাত্রী অভিযুক্ত আজমল আলীকে মেসেঞ্জার থেকে ব্লক করে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবু তাহের জানান, দুই ছাত্রী ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এম আজমল আলী কাওসারের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। এতে আজমল আলী কাওসারের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা বিধিমালা ১৯৮৫ এর ৩ (বি) ধারা অনুযায়ী অসদাচরণ প্রতীয়মাণ হওয়ায় ওই বিধিমালার ১১ (১) ধারা অনুযায়ী তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দওয়া পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। উপাচার্যের নির্দেশে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক জি এম আজমল আলী কাওসার জানান, ছাত্রীদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে কিছু স্ট্যাটাস নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে তাই বিষয়টি অতিরঞ্জিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পর্যন্ত গড়িয়েছে।