এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও:

আর দু’দিন পার হলেই নতুন বছর তথা বাংলা নবর্বষ। ১৪২৪ কে বিদায় দিয়ে ১৪২৫ কে বরন করবে প্রতিটি বাঙ্গালি। এ উপলক্ষে পুরনো বছরের মান অভিমান,ব্যাথা বেদনাসহ ব্যবসায়ীক লেনদেন পরিস্কার করে নতুন বছরে পর্দাপন করবে ব্যবসায়ীসহ সাধারন লোকজন। আসন্ন বর্ষবরন উপলক্ষে সবখানেই প্রস্তুতি চলছে। ককসবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর ব্যবসায়ীদের মাঝে ইতিমধ্য শুরু হয়েছে পুরনো ব্যবসায়ীক লেনদেন সংক্রান্ত চৈত্র কারবারী হিসাব নিকাশ। ঐদিন পুরনো খাতার হিসাব নতুন বছরের নতুন খাতায় লিপিবদ্ব করা হবে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করতে চোখে পড়ে। সর্বশ্রেনী পেশার ব্যবসায়ীদের মধ্য অন্যরকম আমেজ লক্ষনীয়। অনেক ব্যবসায়ীরা ডিজাইনেবল কার্ড, নিমন্ত্রন পত্র দিয়ে দুরদুরান্ত সহ নিকটবর্তী ব্যবসায়ীসহ পাওনাদারদের মাঝে বিলি করতেও দেখা যায়।

আবার বহু ব্যবসায়ীরা নতুন বাংলা বছর তথা নবর্বষকে ঘিরে তাদের প্রিয় ব্যবসায়ীক প্রতিষ্টানকে ফুলে ফুলে সাজিয়ে তুলে। সে সাথে আত্বীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব বা পাশ্ববর্তী দোকানদারদেরকে মিষ্টিমুখের মাধ্যমে নতুন দিনের আনুষ্টানিক ব্যবসায়ীক যাত্রা করে থাকে। এদিকে জেলা সদরের বৃহৎ বানিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ভিক্তিক উপ বাজারের ছোট বড় ব্যবসায়ীরা একই ভাবে নতুন বছরের শুভ হালখাতা উৎসব পালন করে থাকে।

অপরদিকে স্বর্ণ পল্লী এলাকাজুড়ে এ উৎসব ব্যাপক পরিসরে পালন করবে তারা। দোকানকে ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে রাখার পাশাপাশি নতুন দিন বা বছরের হিসাব নিকাশের সুচনা করে। অতীতের ক্লান্তি আর গ্লানি ধুয়ে মুছে নতুনত্বকে বরণ করে নিতে প্রতিবছরের ধারায় আবারো এলো বাঙ্গালীর বাংলা বষর্বরন। এতে করে নতুন দিনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি এটুকুই কামনা।

নবর্বষ প্রসঙ্গে ঈদগাঁও বাজারের উজ্জল জুয়েলার্সের উজ্জল ধর, আরপি জুয়েলার্সের সঞয় ধর, বার আউলিয়া জুয়েলার্সের শংকর আচায্য আজকের ককসবাজারের এ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও এ বাংলা বর্ষবরন( ১৪ এপ্রিল) ভিন্ন পরিসরে পালন করতে যাচ্ছি। এটি বাঙ্গালীর জন্য ঐতিহ্যময় দিন। অন্যদিকে শুভ নবর্বষকে ঘিরে নবর্বষ লেখাযুক্ত মাথার ব্যান, ষ্টিকার ও পতাকা বিক্রয়ের হিড়িক চলছে ঈদগাঁওর সবর্ত্রই এলাকাজুড়েই।