বিশেষ প্রতিবেদক :
শহরের ভোলা বাবুর পেট্রল পাম্প সংলগ্ন সালমা হোটেলের মালিক খলিলুর রহমান (৫২) কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে উৎপেতে থাকা দূর্বৃত্তরা। বসত বাড়ির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে ১১ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় তাঁর গ্রামের বাড়ি পিএমখালীর পূর্ব মুহসনিয়া পাড়ায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া দায়ের কোপে খলিল ক্ষতবিক্ষত হন। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাঁর মাথায়, ঘাড়ে, হাতে, পিঠে বেশক’টি মারাত্বক কোপ রয়েছে। বাঁচার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলে জানান হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ডাক্তাররা। গুরুতর আহত খলিলুর রহমান স্থানীয় মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়- দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবেশি সোলাইমানের সন্ত্রাসী পুত্রদের সাথে বসত বাড়ির সীমানা বিরোধ নিয়ে খলিলের সাথে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এ নিয়ে পিএমখালীর চেয়ারম্যান, সদর মডেল থানা ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে দু’পক্ষের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের শালিস বিদ্যমান। আহতের ভাতিজা নবী উল্লাহ জানান- গতকাল মাগরিবের নামাজের ঠিক আগ মুহূর্তে চাচা পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হন। আনুমানিক দু’শ গজ যাওয়া মাত্র উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী, স্থানীয় সোলাইমানের পুত্র ছাবের, শহীদুল্লাহ, দেলোয়ার ও আজিজের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী চাচার উপর হামলে পড়ে। প্রকাশ্যে চাচাকে দা-কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে উল্লাস করে বীর দর্পে স্থান ত্যাগ করে সন্ত্রাসীরা। পরে স্বজনরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত খলিলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা আহতের শরীরে সাত ব্যাগ রক্ত দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। খলিলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কতর্ব্যরত চিকিৎসক গতকাল রাত সাড়ে ৯ টায় আহত খলিলকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করে। এ ঘটনায় পিএমখালীর সর্বত্র আতংক বিরাজ করছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।