সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সেন্টমার্টিন পর্যটন শাখা কর্তৃক আয়োজিত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের ঐতিহ্যগত সুনাম ও দ্বীপটির পবিত্রতা রক্ষার্থে ‘মাদকদ্রব্য “ইয়াবা” মুক্ত সেন্টমার্টিন চাই’ এই স্লোগানে এক গণস্বাক্ষর অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে আরম্ভ হয়।

১০ এপ্রিল সেন্টমার্টিন ইউরো-এশিয়া রেস্তোরাতে সেন্টমার্টিন পর্যটন শাখার সভাপতি ও সেন্টমার্টিন বিডি নিউজের সম্পাদক এম কেফায়েত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ সালাউদ্দিন শামীমের সন্সালনায় গণস্বাক্ষর অভিযান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রধান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া।

এতে আনুষ্ঠানিকতায় প্রথম দিনে ২৫৬ জন প্রতিবাদকারী গণস্বাক্ষর অভিযানে স্ব-স্ব স্বাক্ষর প্রদান করে। এই গণস্বাক্ষর অভিযান ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানা যায়।

উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টমার্টিন ইউপি মেম্বার হাজ্বী আব্দুস্সালাম, আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান, আব্দুল হক (সাবেক), সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ, সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড ইনচার্জ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষা পরিচালক মাওঃ আবু তাহের, বাজার মসজিদের খতিব নুরুল ইসলাম, হাফেজ জোবায়ের, ব্যবসায়ী মোঃ আলী, মাওঃ জাফরসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানবতাবাদী সদস্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মাওঃ নুর মোহাম্মদ, মাওঃ জয়নাল আবেদিন, সোলতান আহমেদ, ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, জয়নাল সরকার, আয়াছ উদ্দিন, ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

গণস্বাক্ষরতা অভিযান সম্পন্ন পরবর্তী ধাপ, সেন্টমার্টিন দ্বীপের পুলিশ, কোস্টগার্ড প্রশাসন ও দ্বীপের স্থানীয় সুশীল জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা কারবারী, সহযোগী ও সেবনকারীদের একটি তালিকা করা হবে। উক্ত অপরাধীদের তালিকা ও গণস্বাক্ষরের ফাইল বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সদর দপ্তর বরাবরে প্রেরণ করা হবে।যাহা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সদর দপ্তর কতৃক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বরাবরে প্রেরণ করা হবে।