নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ৭ নং ওয়ার্ডের পালপাড়া গরুর হালদা সড়কটির বেহাল দশা। দরগাহ গেইট থেকে দীর্ঘ অন্তত ৫ কিলোমিটার সড়কে প্রায় সব অংশেই ইট-কংক্রিট উঠে পড়েছে। অনেক স্থানে ভাঙন ধরেছে। উপড়ে যাচ্ছে সড়কের মাটি। এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষের চলাচলের সড়কটি মৃত্যুকূপে রূপ নিচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে স্কুলে, কলেজ, মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীদের পথচলা।
অনুন্নত এলাকাবাসীর একমাত্র চলার শেষ ভরসা গরুর হালদা সড়কটির মাঝ পথে ভেঙে গেছে। ৩ বছর আগে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সড়কটি ভেঙে গেছে। পথ চলতে অবর্ণনীয় যাতনা পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। স্থানীয় ক্ষুদ্র চেষ্টায় একটি কাঠের সেতু তৈরী করলেও তা দিন দিন ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে। অধিক চলাচলের কারণে সেতুটি ইতিমধ্যে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। দুই পাশের মাটি সরে পড়েছে। অর্ধেকের বেশী খুঁটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়ে গেছে। খালি পায়ে পারাপারও অনেকটা ঝুঁকি দেখছে স্থানীয়রা।
৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা বেগম জানান, অনেক দিন ধরে সড়কটি ভেঙে গেছে। হাঁটাচলা যাচ্ছেনা। স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায় কাঠের সেতু নির্মাণ করা হলেও তা চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজর দেয়া দরকার। একই কথা বললেন স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য জিয়াউল হক। তার দাবী, অতি সত্ত্বর ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি টেকসই ব্রিজ স্থাপন করা হউক। অন্যথায় আগামী বর্ষায় এলাকাবাসীকে অবর্ণনায় দুভোগ পোহাতে হবে।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে জনগণের দুঃখ দুদর্শার কথা শুনে ভেঙে যাওয়া সড়ক সরেজমিন পরিদর্শন করতে যান কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইসচেয়ারম্যান হেলেনাজ তাহেরা। শনিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তিনি এলাকায় গেলে স্থানীয়রা তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি অতিসত্ত্বর ভেঙে যাওয়া অংশে একটি টেকসই সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। এ সময় প্রবীন সাংবাদিক ফজুলুল কাদের চৌধুরী, আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী রেবেকা সোলতানা আইরিন, সালেহা আক্তার আঁখিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।