কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া :
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের নিউ ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন পাতাবাড়ি গ্রামে জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর ছাড়া করতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে এক অসহায় পরিবারের উপর। সন্ত্রাসীরা জোর পূর্বক জায়গা জমি জবর দখল করতে হামলা করায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। ১৯৮৮ ইং সাল থেকে আবাদ করা ৮০ শতক জমির উপর বসতবাড়ি তৈরি করে সন্তান সন্ততি নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন জমির মালিক মোহাম্মদ ইলিয়াছ। গত রোববার সকালে ফ্লিম স্টাইলে নজুমিয়া ও তার ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস গং ডাম্পার যোগে ধারালো অস্ত্রে সন্ত্রাসী নিয়ে এসে প্রথমে বসতবাড়ি ভাংচুর শুরু করলে বাড়ির লোকজন বেরিয়ে আসতেই দা কিরিচ ও লাটি দিয়ে পিটিয়ে পরিবারের ৭ সদস্যকে মারাত্মক ভাবে আহত করে। গুরুতর আহতরা হলেন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ (৫৫) রানু বেগম (৪৭) ইয়াকুব মামুন (৩০) লুৎফুর নাহার শেফা (১৯) নুর আক্তার নুরী (২২) জালাল উদ্দিন (৪০) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ নোমান (২৩)। জমির মালিক মোহাম্মদ ইলিয়াছ অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩০ বছর ধরে এই বসত ভিটায় বসবাস করে আসছি। সিএনজি চালিয়ে সংসার চালাতাম। অনেক সময় খেয়ে না খেয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করিয়েছি। উখিয়া-টেকনাফ সড়কের পাশে বাড়ি হওয়ায় লুলুপ দৃষ্টি পড়েছে প্রভাবশালী নজু মিয়ার। জোর পূর্বক বাড়ি ও জায়গা দখলের পায়তারা করলে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নজু মিয়া ও তার ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। জোর পূর্বক আমার আবাদীয় বসত ভিটা দখল করে আমাদের পথে নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে আহত শরীর নিয়ে পরিবারের সবাই জিম্মি অবস্থায় দিনাতিপাত করছি। কক্সবাজার সরকারি কলেজের বি এস সি ১ম বর্ষের ছাত্রী লুৎফুর নাহার শেফা বলেন, বাবাকে সন্ত্রাসীরা কিরিচ দিয়ে মাথায় কোপ দিলে বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমি বাবাকে বাচাঁতে চিৎকার করলে পিঠে লাটি দিয়ে আঘাত ও ডান চোখে সন্ত্রাসীরা কোপিয়ে আমাকেও মারাতœক আহত করে। মামলার বাদি ইয়াকুব মামুন জানান, মোহাম্মদ ইদ্রিস ও নজু মিয়া গং এলাকার বিভিন্ন নিরীহ লোকজনের নিকট থেকে জোর পূর্বক জায়গা-জমি দখল করে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নিত। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করে এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। এরা আমার বাবা-মা, স্ত্রী, ভাই ও বোনকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। আমরা চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করেছি। এখন মামলা তুলে নিতে আমাদের প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা জড়িয়ে দিয়েছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা অসহায় আমাদের বাচাঁন। এ ব্যাপারে উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, আমরা বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। থানায় মামলা হয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।