ডেস্ক নিউজ:

সোমবারে পদ্মা সেতু পরিদর্শন প্রসঙ্গে প্রকাশিত সংবাদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা তো আজকেও আছেন। দয়া করে লেখার মধ্যে একটু হুঁশ হয়ে লেখেন। মানুষের সংসারের মধ্যে গোলামাল লাগিয়ে দেওয়া তো ঠিক না। আর বিশেষ করে এই বয়সে, একটা বয়স তো আছে। সে বয়সে গোলমাল লাগালে একটা না একটা সুরাহা করা যায়। কিন্তু এ বয়সে তারও সুযোগ থাকে না।’

বুধবার বিকালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্যের একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেছেন।

রাষ্ট্রপতি জানান, পদ্মা সেতু পরিদর্শনের পর জেলা প্রশাসকের আমন্ত্রণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। সে সময় তার স্ত্রী সঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু অনেক পত্রিকা লিখেছে রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে হাসিমুখে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়- বিশেষ করে চুয়েট, ডুয়েট, কুয়েট-এ যারা পড়ে, তারা ভালো ছাত্র। আমি অত ভালো ছাত্র ছিলাম না। দুষ্ট বুদ্ধি আমার খুব বেশি ছিল। দুষ্ট বুদ্ধি সব সময় কাজে লাগে না, তাদেরও বেকায়দায় পড়তে হয়। গতকাল পত্রিকায় এসেছে, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, জনকণ্ঠ আরও অনেক পত্রিকায় বলেছে রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। আসলে আমার স্ত্রী তো সেখানে যাননি। পত্রিকায় নিউজ দেখে তার (স্ত্রীর) প্রশ্ন হলো- আমার স্ত্রী আবার কে? এটা নিয়ে তো বিরাট অবস্থা।’

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা তো আজকেও আছেন। দয়া করে লেখার মধ্যে একটু হুঁশ হয়ে লেখেন। মানুষের সংসারের মধ্যে গোলমাল লাগিয়ে দেওয়া তো ঠিক না।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আজ আমি একা খুলনা আসতে পারিনি। সঙ্গে স্ত্রীও আসছেন, কপাল ভাল উনি এ অনুষ্ঠানে আসেননি। উনি ভিসির বাসায় আছেন। কিন্তু তিনি যে সেখানে শান্তিতে আছেন তা মনে করি না, কারণ সঙ্গে আবার ছেলের বউ নিয়ে আসছেন। ছেলের বউ এ অনুষ্ঠানে আছে, স্ত্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন, কারণ এখানে আমি কী করি- এমন একটা পাহারার ব্যবস্থা করছে, এটা চিন্তা করা যায় না। সুতরাং সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনারা তো অনেক কিছুতে গোলমাল লাগাতে পারেন। তবে অন্যের জীবনে গোলমাল লাগিয়ে দুরবস্থা সৃষ্টি করা কোনও অবস্থাতেই ঠিক না।’

https://youtu.be/szOr6K9nqW0