শাহেদ মিজান, সিবিএন:
অপ্রচারে মানহানির অভিযোগ করে ছয় জনের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন কক্সবাজার জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারী। তিনি বাদি হয়ে গতকাল বুধবার (৪ মার্চ) কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারিয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং- সিআর-৩৯৫। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার আসামীর হলেন, শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকার মৃত আনন্দ মোহন মালীর পুত্র যথাক্রমে- সুলাল মল্লিক, সুনিল মল্লিক, নিহার মল্লিক, সূর্য্য মল্লিকের মেয়ে যথাক্রমে- সমিতার মল্লিক, কল্পনা মল্লিক ও সুনিল মল্লিকের স্ত্রী রত্মা মল্লিক।
মামলর এজাহারে বলা হয়, বাদি শফিউল্লাহ আনসারী একজন স্বনামধ্য, প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং জেলার শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একটি কুচক্রী মহল তাঁর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ওই চক্রের যোগসাজসে জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ এনে সম্প্রতি শহরের একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিবাদিরা শফিল্লাহ আনসারীর বড় আকারের ছবি দিয়ে ব্যানার টানিয়ে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ‘ভূমিদস্যু’ আখ্যায়িত করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি স্থানীয় অধিকাংশ পত্রিকায় সচিত্র আকারে ছাপানো হয়।

এই সংবাদ প্রকাশিত হলে বাদি শফিউল্লাহ আনসারী সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে চরম মর্যাদাহানির শিকার হয়েছেন। এমনকি অপমানিত, হেয় প্রতিপন্নও হতে হয়েছে। একই সাথে শফিউল্লাহ আনসারীর বিদ্যালয় পড়–য়া সন্তানেরা বিভিন্নভাবে কটূক্তি ও বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। এতে তাদের শিশুমনে গভীর ক্ষত হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। বাদিও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।

তবে প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, শফিউল্লাহ আনসারী তার স্ত্রী আনঞ্জুমান আরা বেগমের নামে ঝিংলজা মৌজায় আট শতক জমি রেজিষ্ট্রি বায়নামুলে প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। ক্রয় করা ওই জমির দখল বুঝে নিয়ে চারিদিকে সীমানা দেয়াল দিয়ে পাকা বসতবাড়ি নির্মাণ করেছেন। পরে প্রকৃত মালিকেরা উল্টো সংবাদ সম্মেলন করে এর জবাব দেন। এমনকি বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশও হয়েছে।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এড. সাজ্জাদুল করিম জানান, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রলক অপপ্রচার করে যেভাবে চরিত্র হরণ করা হয়েছে তার কারণে শফিউল্লাহ আনসারীর এক কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। তাই তিনি নিজে বাদি হয়ে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।