প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

১৯৯৩ সালে অস্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে উঠা কক্সবাজার সিটি কলেজ ২০১৮ তে ২৫ বছরের পূর্ণতা লাভ করায়, বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ৩১ শে মার্চ নিজস্ব ক্যাম্পাসে রজত জয়ন্তী উৎসব সম্পন্ন হয়। সকাল ৮.৩০ টায় শহীদ দৌলত ময়দান থেকে কলেজ ক্যাম্পাস পর্যন্ত উৎসব মুখরিত র‍্যালি হয়ে রজত জয়ন্তী অনুষ্টানের পদযাত্রা শুরু। পরবর্তীতে উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সরকারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমদ পলক এমপি বেলুন উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার সিটি কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব ক্য থিং অং এবং সঞ্চালানায় ছিলেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাবা শরমিন সিদ্দিকা লিমা। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সিটি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সাবেক সাংসদ জনাবা অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন এমপি, জনাব সাইমুন সরওয়ার এমপি (কক্সবাজার -৩), কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব এড. আহমদ হোসেন, গভর্নিং বডির দাতা সদস্য জনাব এড. ফরিদুল আলম এবং কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব ইশতিয়াক আহমেদ জয়।

বহুলাখাঙ্কিত ২৫ শে’র উচ্ছ্বাসের এইদিনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কলেজ পরিবার যে পরিমাণ ত্যাগ করেছে, এতে সত্যিকার অর্থে-ই কলেজ পরিবার প্রশংসার দাবি রাখেন। রজত জয়ন্তীকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কলেজের গভর্নিং বড়ির সভাপতি জনাবা অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন এমপি, অধ্যক্ষ ক্য থিন অং স্যার এবং রজত জয়ন্তী উৎযাপন কমিটির দীর্ঘ ৫ মাসের পরিশ্রমের সফলতার ফসল সিটি কলেজ ছাত্রলীগের প্রত্যাশাকেও অতিক্রম করেছে দাবি করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ও বর্তমান ক্যাম্পাস সভাপতি জনাব সাইদুর রহমান রিফাত বলেন -আমরা চেয়েছিলাম কলেজের রজত জয়ন্তী উৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপন হওক। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল এই উৎসবকে বানচাল করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। বরং আমরা তা কক্সবাজারের ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে জায়গা করে নিয়েছেন। কলেজ পরিবার আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। তাই আমি গভর্নিং বডির সভাপতি শ্রদ্ধেয় জনাবা অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন এমপি ম্যাম, প্রিয় অভিভাবক শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ জনাব ক্য থিং অং স্যার এবং আয়োজক কমিটির প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর স্যারদের পাশে থেকে যেসব ভাই-বোনেরা সহযোগীতা করেছে তাদেরও ধন্যবাদ দিচ্ছি। আগামীতেও কক্সবাজার সিটি কলেজ ছাত্রলীগ পরিবার কলেজের সম্মান ও সকল ষড়যন্ত্র কলেজ পরিবারের পাশে প্রতিহত করার জন্য বদ্ধ পরিকর।
এই বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মহিন উদ্দিন মাহিন বলেন, কলেজ পরিবার আমাদের আশাহত করেনি। কলেজ পরিবার আমাদের একটা ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। তাই আমি গভর্নিং বডির সভাপতি আমাদের সকলের প্রিয়জন শ্রদ্ধেয় জনাবা অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন এমপি, প্রিয় স্যার অধ্যক্ষ জনাব ক্য থিং অং স্যার এবং সকল স্যারদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম বলেন,আমাদের রজত জয়ন্তী উৎসব আমার দেখা শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই উৎসবটি দক্ষিণ চট্টলার ইতিহাসের সকল উৎসবকেও অতিক্রম করেছে। আমরা ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ পরিবার এই অনুষ্ঠান নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিলাম। কারন এই আয়োজনকে ঘিরে অনেক চক্রান্তকারী চক্রান্ত করেছে। যারা চক্রান্ত করে আমাদের সফলতাকে বাধাগ্রস্থ করতে চেয়েছিল তারা শুধু চক্রান্তকারী-ই থেকে গেছে কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। আমাদের অভিভাবক মান্যবর অধ্যক্ষ ক্য থিং স্যার চক্রান্তকারীকে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখিয়ে কিভাবে সফল হতে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছেন। তাই আমরা ছাত্রলীগ পরিবার প্রিয় স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। এছাড়াও আরও বেশী ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রাপ্তি তিনি আমার প্রাণ প্রিয় অভিভাবক যার কাছ থেকে সঠিক রাজনীতির দীক্ষা নিয়ে থাকি, যিনি না-হলে এই কলেজের স্বর্ণযুগ দেখতে পেতাম না! যিনি না হলে এই আয়োজন সারা বাংলায় আলোচনার দৃষ্টান্ত দেখতে পারতোনা! যিনি না হলে এই সিটি কলেজ অতি অল্প সময়ে দক্ষিণ চট্টলার সর্ববৃহৎ মডেল কলেজ হিসেবে স্বীকৃত পেতোনা! আমাদের কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শ্রদ্ধেয় জনাবা অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন ম্যাম। তাছাড়াও আরও যারা কৃতজ্ঞতা পাওয়ার দাবী রাখেন তাঁদের মধ্যে আয়োজক কমিটির প্রধান প্রিয় জনাব আকতার চৌং স্যার এবং গোপাল স্যার সহ সকল স্যার -ম্যামদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।