সংবাদদাতা:
কক্সবাজার সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. শরীফ উদ্দিনকে অঅহত অবস্থায় ময়মনসিংহ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১ এপ্রিল দিবাগত রাত ৪টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার সহায়তায় তাকে সেখানকার একটি বাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্বজনের হাতে তুলে দেয় সংশ্লিষ্ট থানা।
২ এপ্রিল সকালে একটি বেসরকারী বিমানে করে তাকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হয়। সকালে নির্ধারিত পরীক্ষায় (বাংলা দ্বিতীয় পত্র) অংশ গ্রহণ করতে গেলেও হাতে আঘাতের কারণে লিখতে পারেনি বলে স্বজনেরা জানিয়েছে। বর্তমানে সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
মো. শরীফ উদ্দিন কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা দক্ষিণ খরুলিয়া এলাকার মোহাম্মদ শামসুল আলমের ছেলে। সে কক্সবাজার সিটি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী। গত ৩১ মার্চ কক্সবাজার বদর মোকাম থেকে এশার নামাজ শেষে বের হওয়ার পথে অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে যায় একটি অপহরণকারী চক্র। এরপরের দিন (১ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করেন শরীফ উদ্দিনের দুলা ভাই হাফেজুর রহমান হাফেজ। ডায়েরী নং-৫২।
অপরহরণকারীদের কবল থেকে ফিরে আসা মো. শরীফ উদ্দিন জানায়, আমি নামাজ শেষে বের হওয়ার পথে একজন লোক হোটেলে নিরিবিল চিনি কিনা? জানতে চায়। এরপর নিরিবিলি হোটেল দেখিয়ে দিতে বলে কিছুদূর এগুতেই অপেক্ষমান একটি সাদা মাইক্রুতে ধাকা দিয়ে আমাকে তুলে ফেলে। গাড়ীতে থাকা ২জন লোক আমার মুখে কাপড় ঢেকে দেয়। এরপর থেকে আমি আর কিছুই জানিনা, দেখিনি। অনেকটা অজ্ঞান হয়ে গেছি।
সে আরো জানায়, গাড়ী অনেকক্ষণ চলেছে। গভীর রাতে একটি জায়গায় দুইজন প্রশ্রাব করতে নামলে আমিও গাড়ী থেকে নামার চেষ্টা করি। এ সুযোগে গাড়ীতে থাকা ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে কিছু দূর এগিয়ে গেলে রিক্সাসহ আসা এক ব্যক্তি দেখে ডাক দিলে এগিয়ে আসেন। তাকে ঘটনা বর্ণনা দিলে রিক্সা আরোহী আমাকে নিরাপদে নিয়ে যায়। পরে তার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে বাড়ীতে খবর দিই। আমাকে সাহায্যকারী ব্যক্তি থানার কাছে সোপর্দ করে। একদিন পরে থানার মাধ্যমে স্বজনেরা আমাকে নিয়ে আসে। অপহরণকারী কাউকে চিনেছে? কিনা জানতে চাইলে তিনি কাউকে চিনতে পারেনি বলে জানায়।