চকরিয়া সংবাদদাতা:

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার সোসাইটি পাড়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃসংশতা চালানো হয়েছে ৬০ বছরের এক নারীর ওপর। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই নারীর পেটে ও পিঠে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের মুখে মুমূর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে ওই নারীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সোসাইটি পাড়ায় এই নৃসংশতা চালানো হয় ওই নারীর ওপর। এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ তুলে না দেওয়ায় এই নৃসংশতা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা আহত বৃদ্ধা নারীর নাম নমিয়া খাতুন (৬০)। তিনি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আকবর হোসেনের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোসাইটি পাড়ার মৃত ইসহাক আহমদের ছেলে রেজাউল করিম ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৬০ বছরের বৃদ্ধা নমিয়া খাতুনকে পেটে ও পিঠে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে। এতে নমিয়া খাতুনের শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন উন্নত চিকিৎসার জন্য।

নমিয়া খাতুনের বড় ভাই মাহবুবুর রহমান জানান, তাঁর ছোট বোন নমিয়া খাতুনকে দিয়ে হাসপাতাল সড়কের জিয়া কুলিং কর্ণারের মালিক জিয়াবুল করিম ও তার ছোট ভাই রেজাউল করিম এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ নেন। কিন্তু সেই টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে অনেক হয়রানির শিকার হন নমিয়া খাতুন। এর পরেও সংস্থা থেকে নেওয়া টাকা কষ্টেসৃষ্টে পরিশোধ করেন নমিয়া। তবে নতুন করে রেজাউলকে টাকা নিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিলেও নমিয়া এবার টাকা তুলে দিতে অনীহা দেখান। এর জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রেজাউল ও তার ভাইয়েরা মিলে নমিয়ার ওপর নৃসংশতা চালান।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পৌরসভার সোসাইটি পাড়ায় বৃদ্ধা নারীর ওপর নৃসংশতার বিষয়টি এখনো কেউ থানায় অবহিত করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’