ডেস্ক নিউজ:
১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় শেয়ারবাজারবিষয়ক বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে বেকসুর খালাস পাওয়া আট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আট ব্যক্তির মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বর্তমান এক পরিচালক, সাবেক এক সভাপতি, ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) বর্তমান সভাপতিও রয়েছেন।

বিএসইসির পক্ষে সহকারী পরিচালক মুন্সী এনামুল হক রোববার হাইকোর্টের ক্রিমিনাল বিভাগে এই আপিল করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ এই আসামিদের খালাস দিয়েছিলেন।

আসামিদের তালিকায় রয়েছেন- ডিএসইর পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান, ডিএসইর সাবেক সভাপতি আহমেদ ইকবাল হাসান, ডিবিএ’র সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, ব্যবসায়ী এম জে আজম চৌধুরী, হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, শহীদুল্লাহ এবং প্রফেসর মাহবুব আহমেদ।

এই আসামিদের বিরুদ্ধ এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ও সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেডের মাধ্যমে শেয়ার কেলেঙ্কারির অভিযোগে মামলা করা হয়। আট ব্যক্তির পাশাপাশি এই দুই প্রতিষ্ঠানকেও আসামি করা হয়।

তবে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে আট ব্যক্তির পাশাপাশি দুই প্রতিষ্ঠানও খালাস পাওয়ায় উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের মামলার বিষয়ে উচ্চ আদালতে করা আপিলের নম্বর- ৩০৯৫/১৮ এবং সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টসের নম্বর ৩০৯৬/১৮।

এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলায় আসামিরা হলেন- মোস্তাক আহমেদ সাদেক, হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, শরিফ আতাউর রহমান ও আহমেদ ইকবাল হাসান।

আর সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় আসামিরা হলেন- এম জে আজম চৌধুরী, শহীদুল্লাহ ও প্রফেসর মাহবুব আহমেদ।

বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, ট্রাইব্যুনালের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রোববার বিএসইসির পক্ষে সহকারী পরিচালক মুন্সী এনামুল হক হাইকোর্টে আপিল করেন।