আবদুর রাজ্জাক:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিন ডিককুল গয়ামতলী এলাকায় মাষ্টার নেজামের বসতবাড়ির দক্ষিনের রাস্তায় ওই এলাকার দিনমজুর আবদুচ্ছবিরের পুত্র খোকনকে (১৭) জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাত আনুমানিক ১০ টা ৩০ মিনিটের সময় দক্ষিণ হাজিপাড়া এলাকার মৃত দানু মিয়ার পুত্র সন্ত্রাসী জাকায়ার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এই হত্যাকান্ড ঘটায়। এই হত্যার ঘটনায় পুলিশ ঘাতকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কামরুল হাসান ও ওসি (অপারেশন) মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্ব পুলিশের পৃথক টিম দক্ষিন হাজিপাড়া ও লিংক রোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। এতে স্হানীয় এমইউপি সদস্য জহির মিয়া কাজল ও কুদুরত উল্লাহ সিকদার সহযোগীতা করেন।
অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কামরুল হাসান জানান, বঙ্গ ফজলের ছেলে রাসেল, একই এলাকার মৃত দানু মিয়ার ছেলে জাকারিয়া, একই এলাকার মহিবুল্লার ছেলে বার্মাইয়া আরিফ ও নুরুল হাকিমকে ছোরা ও কিরিচসহ গ্রেফতার করে। এক রোহিঙ্গা তরুণীর প্রেমকে কেন্দ্র করে এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ,ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিন হাজী পাড়া এলাকার বঙ্গ ফজলের ছেলে গ্রেফতারকৃত রাসেলের সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিন ডিককূল গয়ামতলী এলাকার জনৈক বার্মাইয়া রশিদ আহমদের মেয়ে পাতলীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
এদিকে বিষয়টি বার্মাইয়া কিশোরী পাতলীর পিতা রশিদ আহমদের পছন্দ না হওয়ায় পাতলীর সাথে একই এলাকার বার্মাইয়া এলএমভির পুত্র আবদুল্লার সাথে বিবাহ ঠিক করে। ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাত্রে তাদের কাবিন হওয়ার দিন ধার্য্য হয়। এদিকে বিষয়টি প্রেমিক রাসেল জানতে পারে পাতলী ও তার পরিবারকে বিভিন্ন রকম হুমকি প্রদর্শনসহ কাবিনের আসর থেকে তার প্রেমিক বার্মাইয়া পাতলীকে তুলে নেওয়ার হুমকি দিলে বিষয়টি ঠেকানোর জন্য পাতলীর পিতা রশিদ আহমদ টাকার বিনিময়ে একই এলাকার আরমান ও লোকজনকে ঠিক করে রাখে।কাবিনের দিন শুক্রবার দুপুরে বঙ্গ ফজলের পুত্র প্রেমিক রাসেল দক্ষিণ ডিককুলে আসলে আরমান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা রাসেলকে পিটিয়ে এলাকা থেকে বের করে দেয়।
এতে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে ওইদিন রাত অর্থাৎ শুক্রবার রাত ১০ টা ৩০ মিনিটের সময় পাহাড় পথে গয়ামতলী হয়ে দক্ষিণ ডিককুলে প্রবেশ করে আরমান খুঁজতে তার বাড়ি গিয়ে খোকনকে আরমান ভেবে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।