মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও:

জেলার বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত ঈদগাঁও বাজারের প্রবেশদ্বার তথা বাসস্টেশনস্থ ঈদগাঁও নদীটি ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। অথচ বৃহত্তর ঈদগাঁওর একাংশ জনগণের নিত্য দিনের সঙ্গী এ ঈদগাঁও নদীটি। যুগ যুগ ধরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন প্রবহমান পানি থেকে আমাদের মা-বোন কিংবা পিতাসহ সর্বশ্রেণীর লোকজন গোসলসহ যাবতীয় কাজে এ নদীটি ব্যবহার করে আসলেও সম্প্রতি ঈদগাঁও বাসস্টেশন ও আশেপাশের কাঁচামাল ব্যবসায়ীসহ নদীর উপর গড়ে উঠা অবৈধ হোটেল- চায়ের দোকানের ময়লা-আবর্জনাতেই নদীর পানিগুলি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে খাবার হোটেল কিংবা চায়ের দোকানের প্র¯্রাবখানা ও টয়লেট নদীর উপরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এবং পুরো বাসস্টেশনের ফলমূল ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা কিংবা রাতের আঁধারে নষ্ট হওয়া ফলমূল ও ময়লা-আবর্জনা ঐ বাসস্টেশনের ব্রীজ থেকে নদীর পানিতে ফেলে দেয়। তাছাড়া চটপটি কিংবা চনামুড়ির দোকানের ময়লাযুক্ত পানিগুলি নদীতে প্রতিনিয়ত নিক্ষেপ করায় নদীর পানি থেকে এক প্রকার দূর্গন্ধ বের হচ্ছে। অন্যদিকে মাংস ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ মৃত কুকুর বা মুরগীগুলিও নদীর পানিতে ফেলে দেয়ায় পুরো পানিগুলি অপরিস্কার ও দূর্গন্ধে পরিণত হয়েছে। অথচ বাসস্টেশন বা বাজারের একাংশে নদীর উপর প্রতিষ্ঠিত খাবার কিংবা চায়ের দোকানগুলি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কিংবা চা বিক্রি করে ঐ পানি দিয়ে। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে জনগণ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানগুলি পাইপের নালী দিয়ে ময়লাযুক্ত পানিগুলি ব্যবহার করে স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে খাবারসহ বিভিন্ন নাস্তা বিক্রি করছে। আবার ঐসব খাবার কিংবা নাস্তাগুলি ঢাকনাবিহীন হওয়ায় মাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড় এবং ধুলাবালিগুলি খাবারের উপর জমে থাকে। মূলত এসব খাদ্য থেকেই রোগের উৎপত্তি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

সচেতন মহলের দাবী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাজারের ন্যায় বাসস্টেশনে অবৈধভাবে নদীর উপর গড়ে উঠা ময়লাযুক্ত খাবার হোটেল, চায়ের দোকান গুলি উচ্ছেদের পাশাপাশি বাসস্টেশনের ময়লা-আবর্জনাযুক্ত চটপটি কিংবা চনামুড়ির দোকানে অভিযান এবং মহাসড়কের কিংবা ডিসি সড়কের উপর অবৈধভাবে গড়ে উঠা কাঁচামাল তথা পঁচাযুক্ত ফল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। অন্যথায় পুরো নদীর পানিগুলি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।

সদর উপজেলা নির্বাহীর হস্তক্ষেপ কামনা করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, শীঘ্রই তদন্ত পূর্বক কাঁচামাল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে খাবার হোটেল, নাস্তা ও চনামুড়ির দোকানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।