মোঃ রেজাউল করিম:

মহেশখালীর হোয়ানকে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্ম সৃজন প্রকল্পের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে যোগসাজশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় লোকজন এ অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ প্রকল্প শ্রমিকদের।

প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, গত ডিসেম্বর নাগাদ হোয়ানক ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীন ৯টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের কাজের মধ্যে ছিল মাটি কাটা ও ভরাট। স্ব স্ব প্রকল্প কমিটির অধীনে এতে নারী-পুরুষ মিলে ৪৭৪ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। জনপ্রতি দৈনিক ২শ টাকা হারে প্রতিজন শ্রমিক ৭/৮ হাজার টাকা পাবার কথা। ২০১৭-১৮ অর্থ সালের আওতায় সম্পাদিত এসব প্রকল্পের মজুরী কার্ডগুলো এখন প্রকল্প সভাপতিদের হাতে। স্থানীয় কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে উক্ত প্রকল্পের টাকা শ্রমিকদের বিলি করার কথা।

ইতোমধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আগামী সোম থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে উক্ত চেকের টাকা বিলি করার সময়সীমা নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মরত শ্রমিকদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল তার ঘনিষ্টজনদের (দলীয় পদবীধারী) নিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে যোগসাজশে উক্ত প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে দিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, মজুরী কার্ডগুলো প্রকল্প সভাপতিদের হাতে থাকার সুবাদে চেয়ারম্যান এবং তার লোকজন প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে তাদের টিপসহি ও স্বাক্ষর জাল করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে হোয়ানক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, আমার এলাকার নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা হয়ত এ ধরণের প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।  আমি ও আমার পরিবার কেমন তা এলাকার সবাই জানে। প্রয়োজনে আপনি খোঁজ খবর নিতে পারেন।

এ ঘটনায় তার জেঠাত ভাই জাফর আলম জফুরের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।

সংশ্লিষ্ট কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ব্যাংকের নিয়ম-কানুন মেনেই মজুরী কার্ড দেখানো সাপেক্ষে প্রকৃত শ্রমিকদের টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেয়া হবে। তিনি প্রত্যেক কার্ডে শ্রমিকদের ছবি সংযুক্ত থাকে বলে জানান।

তাছাড়া একাউন্ট খোলার ফরমে প্রদত্ত দস্তখত বা টিপসহি মিলিয়ে উক্ত চেকের টাকা বিলি করা হবে বলে জানান। উল্লেখ্য, ব্যাংক ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম গত ২৫শে জানুয়ারী উক্ত শাখায় যোগদান করেন। তিনি পাশর্^বর্তী কালারমার ছড়ার ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানান।