সংবাদদাতা:

‘শিক্ষার আলো জ¦ালো-স্বাস্থ্য রাখো ভালো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের রোগীকে ফ্রি-চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হ্নীলা গুলফরাজ-হাশেম ফাউন্ডেশনের ২০তম বর্ষপূর্তি পালিত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৮টায় উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইলে ফাউন্ডেশন মাঠে ফ্রি-চিকিৎসা, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি, সনদ প্রদান, গুণীজন সম্মাননা পদক এবং বেলা ১১টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি শফিক আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আকতার, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম ইন্টার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক চিকিৎসক মো. আমির হোসেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজের কিডনী রোগ বিভাগে অধ্যাপক এম এ কাশেম, চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিআইটিআইডি অবসর প্রাপ্ত পরিচালক চিকিৎসক মো. আবু তৈয়ব, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন, হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ার, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব আদিল উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রামের সদস্য বখতিয়ার উদ্দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টাতা, সাধারণ স¤পাদক এবং হ্নদরোগ বিশেযজ্ঞ জামাল আহমদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।চিকিৎসা ক্যাম্পে মেডিসিন, ডায়াবেটিস, হ্নদ রোগ, নাক-কান-গলা, চর্ম, স্ত্রী ও সার্জারী বিভাগের ২ হাজার ১২৩জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠান শেষে ৯ গুণীজনকে সম্মাননা পদক, ৫১ শিক্ষার্থীকে বৃত্তির অর্থ প্রদান, ১১জন গরীর মেধাবী শিক্ষার্থী বৃক্তি ও আর্থিক অনুদান ও ৫১জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়ার হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টাতা, সাধারণ স¤পাদক এবং হ্নদ রোগ বিশেযজ্ঞ জামাল আহমদ বলেন, ১৯৯৮সালের ৫ মার্চ মা-বাবার নামে এ ফাউন্ডেশনটি গড়ে তোলা হয়। অবহেলিত এ জনপথের সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা। সুস্বাস্থ্য এবং শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া। মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ছাড়া একজন মানুষ এগিয়ে যেতে পারে না, এগিয়ে যেতে পারে না একটি সমাজ ও দেশ।

প্রধান অতিথি ড. শিরিন আকতার বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ, আগে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যেত। সঠিক ও সময় মতো চিকিৎসা সেবা পেত না। এ অঞ্চলের মেয়েদের শিশু থেকে কিশোরী হতে না হতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হতো। বর্তমানে সেই যুগ নেই। শিক্ষা ও সামাজিক ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এ অঞ্চলে এ রকম একটি প্রতিষ্ঠান আলোর মুখ দেখতে পেল। যা উন্নয়নশীল প্রতিষ্ঠানের একটি মডেল স্বরূপ।