নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরে খাজা মঞ্জিল বৈদ্যঘোনা এলাকায় রাতের আঁধারে এক বাড়িতে হানা দিয়েছে একদল সশস্ত্র ভুয়া পুলিশ। ২৮ মার্চ ওই এলাকার মো. আবদুল্লাহর বাড়িতে এই হানা দেয়া হয়। এসময় ওই ভুয়া পুলিশের দল ইয়াবা দিয়ে ওই বাড়ির লোকজনকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা ও মালামাল তছনছ করেছে। এক ঘন্টা ধরে তারা ওই বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে। মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশির পরিকল্পনায় এই ঘটেছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এই নিয়ে তারা কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মো. আবদুল্লাহর পরিবারের লোকজন ২৮ মার্চ রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় খাজা মঞ্জিল বৈদ্যঘোনার মো. আবদুর রাজ্জাকের পুত্র রুবেল (২৭), দবির হোসেনের পুত্র কবির হোসেন (৩৫) ও বৈদ্যঘোনার বুলবুল আক্তারের দোকান সংলগ্ন নূরুল ইসলামের পুত্র মো. রশিদসহ (২৫) পাঁচজন লোক ওই বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই তারা নিজেদের পুলিশের লোক পরিচয় দেয়। তাদের মধ্যে অপরিচিত দু’জনের হাতে বন্দুক ছিলো। তারা বাড়িতে ঢুকেই বাড়ির মালামাল তছনছ শুরু করে। এক পর্যায়ে পকেট থেকে ছোট পুটলী বের করে (সম্ভবত ইয়াবা) বাড়ির লোকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এমনকি মো. আবদুল্লাহর স্ত্রী তাহেরা বেগমসহ অন্যদের নানাাভাবে নাজেহাল ও হুমকি দিতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা এভাবে নাজেহাল করার পর যাওয়ার সময় তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কোনো ধরণের নাজেহাল হয়নি বলে স্বীকারোক্তি আদায় করে তা ভিডিও আকারে ধারণ করেন। পরে তারা বাড়ি ত্যাগ করেন।

ভুক্তভোগী তাহেরা বেগম অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় দবির হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যরা তাহেরা বেগমদের সাথে অনেক দিন ধরে শত্রুতা পোষণ করে আসছে। এই নিয়ে তারা তাহেরা বেগমের মেয়ে সুমী আকতারকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করেছিল। ওই ঘটনায় সুমি আকতার বাদি হয়ে আদালতে একটি নারী নির্যাতন মামলা করে। যার নং-৯৭৩/২১০৭। মামলা তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কর্মকর্তা। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে দেলোয়ার হোসেন ও তার লোকজন আবদুল্লাহর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছে আসছিল।

তাহেরা বেগম দাবি করেন, মামলা করায় প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে দেলোয়ার হোসেন ভুয়া পুলিশ দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা করেছে। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।