প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আগামী ২ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে রামু হাসপাতাল মিলনায়তনে স্বাস্থ্য বিভাগীয় মাঠ কর্মীদের অ্যাডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভা বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবদুল মন্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, খোলা পরিবেশে কৃমি বংশ বিস্তার করে। কৃমি একটি মারাত্মক ব্যাধি, যা খাবারের পুষ্টিগুলো খেয়ে ফেলে, ফলে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। কৃমি আক্রান্ত শিশু কিশোররা মেধাশূন্য হয়ে পড়ে। বছরে ২ বার অক্টোবর ও এপ্রিল মাসে এ কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো হয়। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিপ্লব বড়–য়া, প্রধান সহকারী সৈয়দ হোসেন, পরিসংখ্যানবিদ পংকজ পাল, এমটি ইপি আই আলী আকবর, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক অরিন্দ্র বড়–য়া, দর্পণ বড়ুয়া, অফিস সহকারী দীপঙ্কর বড়ুয়া ধীমান, স্বাস্থ্য সহকারী এনামুল হক, আহমদ উল্লাহ, নুরুল আমিন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় ইপিআই কাজে দক্ষতাসহ স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২জন স্বাস্থ্য সহকারীকে পুরষ্কৃত করা হয়। তারা হলেন দক্ষিণ মিঠাছড়ির ১নং ওয়ার্ডের সাজেদা বেগম ও জোয়ারিয়ানালার ৩নং ওয়ার্ডের স্বপন পাল।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, ইপিআই,ভিটামিন ক্যাম্পেইন, কৃমি নিয়ন্ত্রণসহ স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় কর্মসূচী পালনে স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিক তথা সচেতন সমাজ,সম্মানিত শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষে সরকারি উদ্যোগে ক্ষুদে ডাক্তার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। লক্ষ্য হল ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন। ক্ষুদে ডাক্তারদের মুল কাজ হল স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান, কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে শিশুদের ঔষধ খাওয়ানো, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্বাস্থ্য বিষয়ক দিবস উদযাপন।

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার অন্তর্ভূক্ত কাজগুলো হচ্ছে হাত ধোয়া, দাঁত ব্রাশ করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত নখ কাটা, পরিষ্কার পোষাক পরিধান করা ইত্যাদি।

সভায় জানানো হয়, জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় মাদ্রাসা, মক্তব, এতিমখানাসহ ভাসমান শিশু) ছাত্র-ছাত্রীদের (৫-১২ বছর) একইসাথে বিনামূল্যে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো হবে। কোন শিশু যেন এই কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়ে সেই দিকে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য সর্বসাধারনকে অনুরোধ জানানো হয়।