প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক জননেতা লুৎফুর রহমান কাজল বলেছেন,
আওয়ামীলীগ চায় বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন না করুক, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে তাদেরকে ইতিহাসের বড় পরাজয় বরণ করতে হবে।
তিনি বলেন দেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে চেয়ে আছে, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন হলেই তাদের দুঃশাসন ও অপকর্মের জবাব মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।
জনগণের মনের ভাব বুঝতে পেরেই আওয়ামীলীগ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যামলায় সাজা দিয়ে নির্ঝন কারাগারে বন্দি করে রাখাসহ গণতন্ত্র ও নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগের কাছে দেশ ও জনগণের মতামতের কোন গুরুত্ব নেই,
তারা যদি এতই উন্নয়ন করে থাকে তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের এতো ভয় কেন? তিনি আরো বলেন, শহীদ সফল রাষ্ট্রপতি জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েই বসে থাকেন নি, তিনি অস্ত্র হাতে সম্মূখ যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েই এদেশ স্বাধীন করেছে,
এই অবস্থায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মত সাহসী রাষ্ট্র নায়কের খুবই প্রয়োজন। শহীদ জিয়া প্রবর্তিত গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও অবৈধ জালিম সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি সুষ্ট ধারার গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করতে সবাইকে প্রস্তত থাকার আহবান জানা ২৬ মার্চ কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক জননেতা লুৎফুর রহমান কাজল উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, বিএনপি হচ্ছে এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। সরকার এই দলকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, সামনে অনেক বাধা-বিপত্তি আসতে পারে। এসব বাধা মোকাবিলা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুবেদার মেজর (অবঃ) আব্দুল মাবুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন জিকু চেয়ারম্যানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক পিপি এডঃ শামীম আরা স্বপ্না। বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সহ-সাগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, এম, মোক্তার আহমদ, আতাউল্লাহ বোখারী, জেলা যুবদলের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জল, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক এডঃ মোহাম্মদ ইউনুচ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাসেদুল হক রাসেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার রোমন, সাধারণ সম্পাদক এডঃ মনির উদ্দিন মনির, সদর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মুজিবুল হক মিয়াজী, পিএমখালী বিএনপির সভাপতি ছৈয়দ নূর সওদাগর, ভারুয়াখালী আহবায়ক মাস্টার গোলাম কাদের, খুরুশকুলের আহবায়ক আমানুল হক আমান, সদর যুবদলের সভাপতি ফরিদুল আলম, ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুল কাদের লিমন। এসময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্হিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।