প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর স্বাধীনতা সংগ্রামে ওলামায়ে দেওবন্দের ঐতিহাসিক অবদান স্মরণ করে বলেছেন, যখন বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়ে যায় আর বৃটিশ -বেনিয়ারা ক্ষমতার মসনদে আসীন হয় তখন ঈমানদীপ্ত দেশপ্রেমিক ওলামায়েকেরামই হারানো স্বাধীনতা পূনরুদ্ধারে জীবনবাজি রেখে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভারতবর্ষের আযাদীর সংগ্রামে শায়খুল হিন্দ আল্লামা মাহমদুল হাসান দেওবন্দী রহ. ও আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী রহ. সহ খ্যাতনামা ওলামা-মশায়েখ বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, অকাতরে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দেন অসংখ্য ওলামায়েকেরাম। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ ২০০বছর পর ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের জিঞ্জির থেকে মুক্ত হয় পুরো ভারতবর্ষ। উড্ডীন হয় স্বাধীনতার পতাকা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে নজীর বিহীন আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটে। সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে বৃটিশের কবল থেকে ভারতবর্ষ মুক্ত না হলে আমাদের মাতৃভূমিও এত অল্প সময়ের যুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন হতোনা। তাই দেশপ্রেমিক ওলামায়েকেরামের
ঐতিহাসিক ও আত্মত্যাগী ভূমিকাকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস কল্পনা যায়না।
তিনি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ কক্সবাজারের রামু উপজেলা আয়োজিত আলোচনা সভা ও দু’আ মাহফিলে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একথা বলেন।
২৬ মার্চ বিকাল ৪টায় সংগঠনের রামু উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার জেলা নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম সম্পাদক ও রামু উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুচ্ছালাম কুদছী। তিনি বলেন,ওলামায়ে দেওবন্দের নেতৃত্বে রেশমী রুমাল আন্দোলন, হাজী শরীয়তুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন, শহীদ তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার আন্দোলনও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের নবদিগন্ত উন্মোচন করে।
উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউল্লাহর সঞ্চালনায় এ আয়োজনে বিশেষ আলোচক ছিলেন, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ। শুরুতে পবিত্র কুরআন মজীদ থেকে তিলাওয়াত করেন, উপজেলা অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ অলিউল্লাহ। নাতে রাসুল স. পরিবেশন করেন, শিল্পী আনওয়ার হোছাইন আযাদ।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাইক্ষংছড়ি উপজেলা সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ মরওয়ান, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন আহবায় হাফেজ হেলাল উদ্দীন, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নোমান, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন সভাপতি মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম,চাকমারকুল ইউনিয়ন যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হোছাইন, গর্জনিয়ার মুহাম্মদ ইরফান, ছাত্রনেতা আনওয়ারুল ইসলাম, সাঈদ হোছাইন, মুহাম্মদ জুনাইদ প্রমুখ।
দু’আ মাহফিলে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদানের রুহের মাগফিরাত ও দেশ-জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মুনাজাত করা হয়।