বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের জেলা যুবলীগের ২৯ মার্চের সম্মেলনকে ঘিরে আতংকে আছে কাউন্সিলাররা। সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে না আসতে ইতিমধ্যে কয়েকটি উপজেলার কাউন্সিলার দের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সম্মেলনকে নিরেপেক্ষ ও সকল কাউন্সিলারদের অংশগ্রহন নিশ্চিতের দাবি করেছে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।

দীর্ঘদিন পরে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সসবাজার জেলা যুবলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। যুবলীগের এই সম্মেলন ও কাউন্সিল কে ঘিরে জেলা জুড়ে যুবলীগের রাজনীতিতে উৎসবের আমেজ চলছে। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এই দুটি পদের আসতে একাধিক প্রার্থী পুরো জেলা চষে বেড়াচ্ছে। উপজেলায় উপজেলায় গিয়ে কাউন্সিলারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে পদ প্রত্যাশীরা। সভাপতি-সাধারন সম্পাদক এই দুই পদের জন্য কাউন্সিল অধিবেশন হলেও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সভাপতি পদে সোহেল আহমেদ বাহাদুর অনেকটাই নিশ্চিত। যদিও জেলা যুবলীগ নেতা শহিদউল্লাহ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম কনক নিজেদের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন।

কক্সবাজার জেলা যুবলীগের এই সম্মেলনে মূলত সাধারন সম্পাদক পদেই হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। সাধারন সম্পাদক পদে বর্তমান সহ সভাপতি শহিদুল হক সোহেল, কক্সবাজার পৌর যুবলীগের আহবায়ক শোয়েব ইফতেখার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন পুতু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলি আহম্মদ প্রার্থী হয়েছেন। তারা সবাই এখন মাঠ পর্যায়ে কাউন্সিলারদের বাড়ি বাড়ি চসে বেড়াচ্ছেন।

আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরের জেলা যুবলীগের কাউন্সিল অধিবেশনকে ঘিরে কয়েকটি উপজেলার কাউন্সিলারদের না আসার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক প্রভাবশালী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা এই হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মূলত মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও উখিয়ার কাউন্সিলারদের না আসার হুমকি দেয়া হচ্ছে।

জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী ও কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক শোয়েব ইফতেখার জানিয়েছেন, কয়েকটি উপজেলার কাউন্সিলারদের না আসার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি বিষয়টি কেন্দ্র অভিযোগ করেছেন। সুষ্ঠু কাউন্সিলের মাধ্যমে কক্সবাজার যুবলীগের যেই নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য তিনি দাবি জানান।

কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্মেলনকে ঘিরে কোন ধরনের অপৃতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। কাউন্সিলার দের কেউ নির্ভয়ে সম্মেলন স্থলে আসার আহবান জানান তিনি।

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, যুবলীগের কাউন্সিলকে ঘিরে সকল ধরনের প্রস্তুুতি নেয়া হয়েছে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেয়া হবেনা।