প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

টেকনাফ উপজেলা যুবলীগ কর্তৃক ঘোষিত ‘কালো টাকার বিনিময়ে’ দেয়া হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, পথসভা, সড়ক অবরোধ ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুদ্ধ যুবলীগ নেতা-কর্মীরা।

অভিযোগ মতে, ২৬মার্চ সোমবার বিকাল থেকে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগ কর্তৃক ঘোষিত হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটিতে রাজাকার পুত্র ও ২০১৫ সালে ২৮ আগষ্ট দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা গডফাদার নুরুল আলম নুরুকে সভাপতি ও বিগত বিএনপি সরকার আমলে হ্নীলা ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি, দৈনিক সমকালে ২০১৭সালের ২০জানুয়ারী প্রকাশিত তালিকাভূক্ত ১শ ১৪জনের মানব পাচারকারী গডফাদারের তালিকাভূক্ত ও ২০১৫ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৮২৮নং মামলার আসামী আনোয়ারুল ইসলাম নয়ন। পরবর্তীতে মাদক মামলা ও আদম পাচারে অভিযুক্ত হওয়ায় নাম পরিবর্তন করে আনোয়ার হোসেন নাম ধারণকারীকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত কমিটি অবিলম্বে বাতিলের দাবীতে হ্নীলা ষ্টেশনের সিকদার প্লাজা হতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরাস্তা মোড়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়।

হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক মুফিজুর রহমান কাজলের সঞ্চালনায় উক্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল সরওয়ার, যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজা, হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মমতাজুল ইসলাম কালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী, হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক বশির আহমদ, শাকের আহমদ শাকের, জাফর আলম গুরা, যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন কালাবদা, আমিনুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, মোয়াজ্জেম হোসেন, জামাল হোছন, জাফর ইকবাল, ফরিদুল আলম, দেলোয়ার হোছাইন শাহীন, সিরাজুল মোস্তফা সুনু, আবু বক্কর, সিরাজুল ইসলাম কাজল, মোস্তাক আহমদ, জালাল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম ভূট্টো, লুৎফুর রহমান, জসিম উদ্দিন, মাঈন উদ্দিন, আবুল আলম আবু, মোঃ পারভেজ, মোঃ রুবেল, শাহাবুদ্দিন, শহীদুল্লাহ, হাশেম উল্লাহ, মোঃ ফায়সাল প্রমুখ।

এতে বক্তারা বলেন, উপজেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ ঘোষিত কমিটির নেতাদের চরিত্র ও কার্যক্রম খতিয়ে না দেখে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন এই যুবলীগের অত্র ইউনিয়ন শাখার দায়িত্বভার দেওয়ায় পুরো সংগঠনকে হেয় করা হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কক্সবাজার-৪ আসনে যুবলীগের বিকল্প নেই। তাই সংগঠনের স্বার্থে ইয়াবা গডফাদার ও মানব পাচারকারীদের হাত থেকে নেতৃত্বভার সৎ ও যোগ্য নেতাদের হাতে অর্পণ করার আহবান জানানো হয়। এরপর প্রধান সড়কে টায়ার জ¦ালিয়ে অগ্নিসংযোগের পর অবরোধ সৃষ্টি করা হলে সাধারণ মানুষ এবং যানবাহন আটকা পড়ে। এরপর যুবলীগ নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসুচী সমাপ্ত করে চলে যায়। এরপর খবর পেয়ে া একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপজেলা যুবলীগ এই ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে সাংবাদিক সম্মেলন,মানবন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে গভীর রাতে কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর পরই বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা সড়কে অগ্নিসংযোগ করে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।