অংশ নেয়া যাবে গণশুনানীতে, করা যাবে অভিযোগও

এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন:

কক্সবাজার জেলার যে কোন জায়গায় পরিবেশ বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে যে কোন ব্যক্তি অভিযোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি দ্বায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ থাকলে পরিবেশ অধিদপ্তরেরও যে কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যাবে। ডাক যোগে কিংবা সরাসরি পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ভাবে এ অভিযোগ করা যাবে। চলতি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে এ বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়াও মাসের প্রথম মঙ্গলবার গণশুনানীর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যাতে মাষের দেয়া অভিযোগগুলো কার্যকর হয়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালায়ের বারান্দার সোফায় চার ব্যক্তি বসে আছেন। তাদের মধ্যে একজন হাবিবুর রহমান। তিনি এসেছেন রামু উপজেলার মিঠাছড়ি এলাকা থেকে। হাবিবুর রহমানের অভিযোগ, তার বাড়ীর পাশে দুই’শ ফুট উচু একটি পাহাড় কাটছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। হাবিবুর রহমানের অভিযোগটি হাতে পেয়ে সাথে সাথে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল চলে গেলেন মিঠাছড়ি এলাকায়। এ অভিযানের নেতৃত্বদেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালায়ের খোদ সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর বিভাগীয় পরিচালকের অনুমতি নিয়ে মামলাও করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। শুধু হাবিবুর রহমানের অভিযোগ নয়, এভাবে প্রতিদিন বিভিন্ন ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে চলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের আপোষহীন অভিযান।

গণশুনানীতে অংশ নেয়া আব্দুল কাদের জানান, এক বছর আগেও একটি অভিযোগ জমা দেয়ার পর ব্যবস্থা নেয়াতো দূরের কথা অভিযোগের ওই কপিরও কোন হদিস পাওয়া যেতনা। অথচ সময়ের ব্যবধানে চলতি সপ্তাহে গণশুনানীতে সরাসরি অংশ নিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে প্রতিকার পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালায়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব বলেন,‘মহাপরিচালক ও বিভাগীয় পরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী গণশুনানীর ব্যবস্থা ও অভিযোগ বাক্স খোলা হয়েছে। পাশাপাশি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিশেষ অভিযানও।